৮ এপ্রিল, শুক্রবার বেলা একটার কুণ্ডলী।
মহাভারতের ধর্মযুদ্ধে কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন, ‘কর্মেই তোমার অধিকার, ফলে নয়। তুমি শুধু কাজ করে যাও।’
নিষ্কাম কর্মের প্রতি তাঁর আসক্তির কথা মাঝেমধ্যে শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। কেন্দ্রে মন্ত্রী বা রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে-পরে তিনি অনেক বারই ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, কোনও পদে তাঁর মোহ নেই। নেহাৎ দায়ে পড়ে...।
ভোট-যুদ্ধে নেমে সেই মমতা অবশ্য ফলের আশা ছাড়তে নারাজ। এই যুদ্ধে জিততে যা যা করণীয়, তা করার ব্যাপারে তিনি পিছপাও নন। এমনকী, নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনক্ষণটিও তিনি বেছে রেখেছেন একেবারে তিথি-নক্ষত্রের ‘শুভযোগ’ মিলিয়ে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১টায় ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রী। একই দিনে তাঁর ঠিক আধ ঘণ্টা পরে মনোনয়নপত্র পেশ করার
কথা মমতার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, জোটপ্রার্থী দীপা দাশমুন্সীর।
এমন কী মাহাত্ম্য এই শুক্রবারের?
জ্যোতিষীরা বিচার করে বলছেন, দুপুরের ওই সময়টিতে অশ্বিনী নক্ষত্র মেষ রাশিতে থাকবে।
তাতে কী হয়?
জ্যোতিষী অসীম দাসের মতে, অশ্বিনী হল কেতুর নক্ষত্র। এতে শত্রু নিধন সহজ হয়, গুপ্তশত্রু নাশ হয়।
তাই কি একই দিনে ওই ‘শুভযোগ’ কাজে লাগাতে চাইছেন মমতা ও দীপা দু’জনেই?
এ সম্পর্কে মমতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দীপা বলেছেন, ‘‘আমার সঙ্গে জ্যোতিষের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ বুধবার সকালে অবশ্য পুরোহিতের ঠিক করে দেওয়া সময় মেনেই কালীঘাটের মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন দীপা। শুক্রবারটাও
ঠিক করেছেন কর্মীদের মুখে ‘দিনটা শুভ’ শুনে।
জ্যোতিষীদের অনেকের অভিমত, মমতা মঙ্গলের জাতিকা। তিনি মনোনয়ন পেশের যে সময়টা বেছেছেন, তখন মেষ রাশি। তাঁর পক্ষে এটা ‘হিতকারী’।