সীমানা সুরক্ষায় তৎপরতা
আরামবাগ মহকুমার সীমানা নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ তৎপরতা শুরু হয়েছে। মহকুমার চারটি বিধানসভা ক্ষেত্র গোঘাট-খানাকুল-পুড়শুড়া ও আরামবাগ এমনিতেই রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল বলে খ্যাত। তার উপর ভৌগোলিক দিক থেকেও প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ, চারটি জেলা বর্ধমান-বাঁকুড়া-পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া জেলার কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় নির্বাচনগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সঙ্কচের নজির রয়েছে প্রচুর। মহকুমা শাসক তথা রিটার্নিং অফিসার প্রতুলকুমার বসু বলেন, “মহকুমার সুরক্ষা নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকার সবকটি পয়েন্টে নিয়মিত নাকা চলছে। কোথাও যাতে হিংসা না ছড়ায় সে জন্য বিশেষ নজরদারি দল মোতায়েন আছে।” লাগোয়া চার জেলার সীমানা এলাকার গ্রামগুলো যে কোনও ভোটের সময় উত্তপ্ত থাকে। যেমন বাঁকুড়া সংলগ্ন গোঘাটের বেঙ্গাই, শ্যামবাজার, বদনগঞ্জ-ফলুই ১ ও ২ পঞ্চায়েত। পশ্চিম মেদিনীপুর সংলগ্ন গোঘাটের বহড়াশোল, হাজিপুর, নকুন্ডা, শ্যাওড়া, বালি পঞ্চায়েত এবং একই সঙ্গে খানাকুলের ঘোষপুর, কিশোরপুর ১ ও ২, ঠাকুরানিচক, ধান্যগোড়ী এবং জগৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। অন্যদিকে হাওড়া লাগোয়া খানাকুলের বালিপুর, অরুন্ডা, চিংড়া, পলাশপাই ১ ও ২, মাড়োখানা, এবং পুড়শুড়ার শ্যামপুর পঞ্চায়েত এলাকায় অশান্তি ভোটের সময় পরিচিত ছবি।
দলের বাইক মিছিল, জানেনই না তৃণমূল প্রার্থী
তৃণমূলের বাইক মিছিল বেরিয়েছিল। খবর পেয়ে মাঝপথেই মিছিল বন্ধ করে দিন পুলিশ। আটক করা হয়েছে চারটি বাইক। বাইক মিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম। রবিবার সকালে হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ঘটনা। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বাহানা থেকে মিছিল শুরু হয়। পথে সিপিএমের এক কর্মী মোবাইলে মিছিলের ভিডিও রেকর্ডিং করেন। তৎক্ষণাৎ সিপিএমের তরফে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এর পরেই পুলিশের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সিপিএমের জাঙ্গিপাড়া জোনাল কমিটির সম্পাদক অলোক সিংহরায় বলেন, ‘‘তৃণমূল কোনও নিয়ম মানছে না। আমরা ছবি-সহ অভিযোগ জানিয়েছি নির্বাচন কমিশনে।’’ জেলা পুলিশের এক অফিসার জানান, এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল প্রার্থী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি দিলাকাশ অঞ্চলে হেঁটে প্রচার করছিলাম। মোটরবাইক নিয়ে মিছিল হয়েছে কি না, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’