মমতার নির্দেশে ছক রাজীবকুমারেরই, অভিযোগ তুলে সাসপেন্ডের দাবি বিজেপি-র

তাঁরা আসলে বোড়ে। তা হলে রাজা-উজির কে? রাহুল সিংহের অভিযোগে উঠে এসেছে দু’টি নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজীব কুমার। এক জন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অন্য জন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৬ ১৬:২৩
Share:

কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার।— ফাইল চিত্র।

তাঁরা আসলে বোড়ে। তা হলে রাজা-উজির কে? রাহুল সিংহের অভিযোগে উঠে এসেছে দু’টি নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজীব কুমার। এক জন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অন্য জন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

Advertisement

মঙ্গলবারও একই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্তর কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে তারা। সেখানে মূলত তিনটি দাবির কথা জানানো হয়েছে। প্রথমত, রাজ্য বিজেপি-র সদর দফতরে এসে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহকে ঘুষ দিতে চাওয়ার ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়েছে তারা। কারণ হিসেবে রাহুলবাবু জানান, দুই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী তাঁর কাছে এসে মুর্শিদাবাদের একটি এলাকা থেকে গরু পাচারের জন্য সাহায্য চেয়েছিলেন। গরুপাচার একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ। কাজেই তার তদন্ত সিবিআই-এরই করা উচিত বলে তাঁদের দাবি। দ্বিতীয়ত, অভিযোগ যে হেতু কলকাতা পুলিশের দুই কর্মী এবং তার কমিশনারের বিরুদ্ধে সে কারণে সেই বাহিনীকে দিয়েই এই ঘটনার তদন্ত করানোটা সাজে না। আর তৃতীয় দাবিটি হল, গোটা ঘটনার ছক কষার জন্য রাজীব কুমারের সাসপেন্ড। এ ব্যাপারে যদিও সুনীলবাবুর কোনও মন্তব্য জানা যায়নি।

এ দিন নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে রাহুলবাবু বলেন, ‘‘বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরেছি যে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজীব কুমার এটি করিয়েছেন। স্টিং-কাণ্ড থেকে নজর ঘোরাতেই এই পরিকল্পনা। রাজীব কুমারকে সাসপেন্ডের দাবি জানিয়েছি আমরা।’’

Advertisement

প্রেসক্লাবে এ দিন রাহুলের সুরই শোনা গিয়েছে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের গলাতেও। রাজীব কুমার এবং মমতার নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নেতা রাহুল সিংহকে ফাঁসানোর জন্য একটা বিফল চেষ্টা করা হয়েছে। দুটো নিচুতলার সেপাইকে ধরে কী হবে ভাই! গোটাটাই পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে হয়েছে।’’ এর পরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে ইলেকশন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে, এই পুলিশ কমিশনার তো বটেই, নারদের স্টিং অপারেশনে যে সব পুলিশ কর্তাকে দেখা গিয়েছে তাঁদের সরিয়ে শান্তিুপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন করা হোক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement