মৃত পতিহার ডোমের স্ত্রী জয়শ্রী ডোম। নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের দুবরাজপুরে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু নিয়ে এ বার দলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ তুললেন নিহতের স্ত্রী। মঙ্গলবার ভোররাতে দুবরাজপুরের লোবায় পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় পতিহার ডোম নামে এক বিজেপি কর্মীর দেহ। পতিহারকে তৃণমূল খুন করেছে বলে অভিযোগ তুলে তাঁর দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী ও বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষ বাঁধে। কিন্তু বেলা গড়াতেই চাঞ্চল্যকর মোড় ওই ঘটনায়। পতিহারের স্ত্রী জয়শ্রী ডোমের অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে খুন করেছে লোবার ফকিরবেড়া গ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপি-রই বুথ সভাপতি দুলাল ডোম। জয়শ্রীর ব্যাখ্যা, ‘‘সোমবার বিজেপির একটি বৈঠক হয়। আমার স্বামী মদ্যপ ছিল বলে ওই বৈঠকে তাঁকে দল থেকে বার করে দেওয়ার হুমকি দেয় দুলাল। এর পর রাতে সেই ‘দুলাল ডাকছে’ বলে বাড়ি থেকে বার হয় আমার স্বামী।’’ জয়শ্রীর বক্তব্য, ‘‘দুলালই মেরেছি। আমি দুলালকে চিনি। ওকেই ধরব।’’ ওই ঘটনার পর থেকে অবশ্য খোঁজ মিলছে না দুলালেরও।
মঙ্গলবার পতিহারের দেহ উদ্ধারের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ফকিরবেড়া। তৃণণূলের বিরুদ্ধে পতিহারকে খুনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং গ্রামবাসীদের একাংশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও বাঁধে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে পাল্টা ইট ছোড়েন গ্রামবাসীরা। তাতে কয়েক জন পুলিশ কর্মী আহত হন। পুলিশের মারে জখম কয়েক জন গ্রামবাসীও। কিন্তু বেলা গড়াতেই সেই খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপি-রই বিরুদ্ধে। জয়শ্র্রীর অভিযোগ সামনে আসার পর তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, ‘‘বিজেপির বুথ সভাপতি বিজেপি কর্মীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে।
কিন্তু এর মধ্যে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে গেরুয়া শিবির। বীরভূমে বিজেপি-র জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার পাল্টা অভিযোগ, ‘‘পুলিশকে দিয়ে পতিহারের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে এফআইআর লেখানো হয়েছে। আর তাতে আমাদের বুথ সভাপতির নাম রয়েছে। এ নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন হোক।’’