আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিবেক দুবে এবং অজয় নায়েক (বাঁ দিক থেকে)। —ফাইল চিত্র
রাজ্য পুলিশের ডিজি অপসারিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বুধবার নবান্নে বৈঠকে বসলেন রাজ্যে আসা নির্বাচন কমিশনের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক। তাঁরা হলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।
মঙ্গলবার রাতেই ডিজি-র পদ থেকে বীরেন্দ্রকে সরিয়ে দিয়ে তাঁর জায়গায় নীরজনয়ন পাণ্ডেকে নিয়োগ করার নির্দেশ দেয় কমিশন। রাজ্য প্রশাসন সেই নির্দেশ রূপায়ণে কালবিলম্ব করেনি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এ দিন নবান্নে গিয়ে ভোট-প্রস্তুতি নিয়ে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও সদ্য-নিযুক্ত ডিজি-র সঙ্গে সবিস্তার বৈঠক করেন দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক।
বৈঠক সম্পর্কে কোনও পক্ষ মুখ খুলতে চাননি। তবে প্রশাসনিক সূত্রের অনুমান, ভোট পরিচালনায় রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্তারা রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তার পরে আর এই ধরনের বৈঠক হয়নি। নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই জানাচ্ছেন, এ বার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনিতে প্রতিটি বুথেই আধাসেনার নিরাপত্তা দিতে চাইছে কমিশন। কিন্তু ভোটকেন্দ্র থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা কী হবে এবং কী ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশের সমন্বয় হবে, সেই পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চাইছেন বিশেষ পর্যবেক্ষকেরা।
প্রথম দফার ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। ওই দফার ৩০টি আসনের জন্য ২২২ জন প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করেছেন। তৃণমূল এবং বিজেপি সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। বিএসপি ১১, সিপিএম ১৮, সিপিআই চার, কংগ্রেস সাত, ফব দুই, আরএসপি এক, অন্যান্য ৬৫ এবং নির্দল প্রার্থীরা ৫৪টি আসনে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন। প্রথম দফার ভোটে ১৫৫৩টি বুথই মহিলা পরিচালিত। সাত হাজারের বেশি মহিলা ভোটকর্মী থাকছেন এই ভোট-প্রক্রিয়ায়।