ছবি: সংগৃহীত।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আবহে নির্বাচন করাতে হলে শুধুমাত্র পুলিশের উপর ভরসা রাখলেই চলবে না। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও যাতে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন, তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার নির্বাচনের বাকি দফাগুলি নিয়ে সর্বদল বৈঠকের আগে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ভোটের মরসুমে করোনাবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পুলিশের কাঁধে দায়িত্ব চাপালেই চলবে না, এতে সব পক্ষেরই দায় রয়েছে। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোকেও কড়া নির্দেশ দেওয়া উচিত কমিশনের। এমনটাই মনে করে হাইকোর্ট। কমিশনকে সোমবার রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত।
শুক্রবার দুপুর ২টোয় সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কমিশন। নির্বাচনের ৪ দফা পেরিয়ে যাওয়ার পর দেখা গিয়েছে যে, ভোটের প্রচারে মিটিং-মিছিল বা জনসভায় করোনাবিধির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। এ নিয়ে ভোটপ্রার্থী থেকে রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ— সব পক্ষেরই ঢিলেঢালা মনোভাব চোখে পড়ছে। রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে এমনিতেই হু হু করে সংক্রমণ বাড়ছে। তার উপরে রাস্তাঘাট, দোকানবাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক জমায়েতে করোনাবিধি অবহেলা করার ফলেও সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
এই আবহে কী ভাবে করোনাবিধি মেনে বাকি দফাগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে, তা নিয়েও সর্বদল বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। প্রসঙ্গত, শাসকদলের দাবি সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম তথা শেষ দফা এক দিনে সম্পন্ন করার মতো পর্যাপ্ত বাহিনী এত দ্রুত জোগাড় করা সম্ভব নয়। ফলে বাকি দফাগুলি আলাদা ভাবে করা হলেও, তা কী ভাবে করোনাবিধি মেনে করা যেতে পারে, সে নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলির মতামত জানবে কমিশন। তবে এ নিয়ে কমিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করে হাইকোর্ট।