নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে ক্ষমতায় এসে বালি এবং কয়লা মাফিয়া রাজ বন্ধ করার কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একই সঙ্গে ওই মাফিয়াদের জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে বিজেপি-র জনসভা ছিল। সেখানেই অমিত এ কথা বলেন।
কোচবিহারের পর আলিপুরদুয়ারের কালচিনির সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘উত্তরবঙ্গ বঞ্চনা’র অভিযোগও তোলেন অমিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার কোচবিহারের শীতলকুচিতে সভা করে আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে আসেন। দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার কথা বলেই কোচবিহারের কথাই ফের উচ্চারণ করেন তিনি। বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের দূরত্ব ৭০০ কিলোমিটার। কিন্তু দিদি মনে করেন, এই দূরত্ব যেন ৭ হাজার কিলোমিটার।’’ অমিতের সভায় শুক্রবার তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেন মোহন শর্মা। আলিপুরদয়ার জেলা পরিষদের মেন্টর থাকার পাশাপাশি একাধিক পদে ছিলেন জেলার পরিচিত ওই তৃণমূল নেতা।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন নিয়ে শুক্রবার একাধিক প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছে অমিতের গলায়। তিনি বলেছেন, ‘‘ভোটের ফল প্রকাশের পর চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি করা হবে। এখন যা ২১০ টাকা, তা বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করা হবে। চা-বাগানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের জমির পাট্টা বিলি করা হবে। তৈরি হবে স্কুল, এমইস, হাসপাতাল। পাহাড়ে তৈরি করা হবে নেপালি ভাষার অ্যাকাডেমি।’’
তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগান নিয়েও শুক্রবার আক্রমণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘দিদির বিদায় নিশ্চিত। খেলা হবে বলে ভয় দেখাতে চাইছে তৃণমূল। ভয় পাবেন না। নন্দীগ্রামের ভোটে দিদি হেরে গিয়েছেন। বাংলায় আর গুন্ডারাজ চলবে না।’’ নির্বাচনের শুরু থেকেই ‘কয়লা মাফিয়া’, ‘বালি মাফিয়া’দের নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গে সেই কথাও শোনা গেল অমিতের মুখে। তিনি বলেন, ‘‘২ তারিখের পর বালি মাফিয়া, কয়লা মাফিয়াদের রাজত্ব বন্ধ করব। সবাইকে জেলে পাঠাবার ব্যাবস্থা করব। শুধু আপনারা দিদিকে বদলান। আত্মীয়দের ফোন করে বলুন, ভোট দিতে আসতে।’’