হামলার নমুনা। ছবি: সুব্রত জানা।
ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায়।
ভোটের দিন, গত ২৫ এপ্রিল রাতেই আমতার খোসালপুর ও পাঁচলায় সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ বার সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল বাগনানের পানিত্রাস এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার। সাঁকরাইলের কাঁদুয়া এলাকায় এক তৃণমূল সমর্থককে মারধর ও তার বাড়িতে ভাঙচুর করার অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের তরফে দু’টি ঘটনাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও দু’টি ঘটনাকেই সিপিএম তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে।
পুলিশ ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পানিত্রাস বাজার এলাকায় বছর খানেক ধরে একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে তৃণমূলের। মঙ্গলবার রাতে দলের কর্মী সমর্থকরা সেখানে বসে ভোটের কাজকর্ম করছিলেন। বুধবার সকালে তাঁরা দেখেন দলের পতাকা, ফেস্টুন, বেঞ্চ পোড়া অবস্থায় রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাগনান থানার পুলিশ। আমতার তৃণমূল প্রার্থী তুষার শীলের অভিযোগ, সিপিএম পরিকল্পিতভাবে তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়েছে। স্থানীয় সিপিএম নেতা ভাস্কর রায় বলেন, ‘‘এটা ষড়যন্ত্র। তৃণমূল নিজেরাই আগুন লাগিয়ে দিয়ে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে।’’ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ দিন সকালে সাঁকরাইলের কান্দুয়ার খাঁ পাড়ায় সিপিএমের লোকজন তৃণমূল কর্মী নজরুল খাঁকে মারধর ও তার বাড়িতে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ দলের। যদিও ঘটনাটি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলে মন্তব্য করেন সাঁকরাইল কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সমীর মালিক।
এদিকে জয়পুরের রাজবংশীপাড়ায় ভোটের দিন বোমা ফেটে এক মহিলা-সহ তিনজনের আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান-উতোর চলছেই। ওই দিন জয়পুরের তৃণমূল উপপ্রধান সুভাষ বরের বাবা শীতল বর, স্ত্রী পূর্ণিমা বর এবং তাঁদের এক আত্মীয় হারু বর বোমায় জখম হন। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএম এবং কংগ্রেস যৌথভাবে ওই তিনজনের উপরে বোমা মেরেছে। কংগ্রেস এবং সিপিএমের পাল্টা অভিযোগে, হারু বর তাদের দিকে বোমা ছুড়তে গিয়ে পড়ে গেলে তার হাতে থাকা বোমা ফেটে তিনজন আহত হয়।