তিনি কংগ্রেসের প্রবীণ বিধায়ক। সবংয়ের ভূমিপুত্র। সেই সবংয়ের মাটিতেই তৃণমূল কর্মীর মোটরবাইক ভাঙচুর, ছিনতাই, এমনকী শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ উঠল মানস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে!
বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল আমলে নতুন নয়। সবং কলেজে ছাত্র খুনের পরে বেছে বেছে ছাত্র পরিষদ কর্মীদের জেলে ঢোকানোর অভিযোগে সরব হয়েছিলেন মানসবাবুই। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় সরব বিরোধীরা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূল আমলে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে। যাঁরা এমন অভিযোগ নিয়েছেন, তাঁদের ভূমিকাও নির্বাচন কমিশনের দেখা উচিত।’’ মানসবাবু নিজে বলছেন, ‘‘৪০ বছর রাজনীতি করছি। বাম আমলে অনেক অত্যাচার দেখেছি। তবে এমন অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি।’’ আজ, শুক্রবার সবংয়ে সভা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সে কথা মনে করিয়ে মানসবাবুর সংযোজন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। তাই তাঁকে উপহার দিচ্ছে সবংয়ের পুলিশ।” যদিও সবংয়ের তৃণমূল প্রার্থী নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনা ঘটেছে বলেই স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এর সঙ্গে দলের যোগ নেই।’’
গত রবিবার মানসবাবুর উপস্থিতিতেই জোটের মিছিলে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই রাতে তৃণমূল ছিনতাই-মোটর বাইক ভাঙচুর এবং শ্লীলতাহানির দু’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করে। দু’টিতেই নাম রয়েছে মানসবাবুর। অভিযোগ, মানসবাবুর উপস্থিতিতে মিছিল থেকে এক প্রৌঢ়াকে কটূক্তি করা হয়, কাপড় ধরে টানাটানিও করা হয়। আর এক তৃণমূল কর্মীর মোটরবাইক ভাঙচুর করে দশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। শ্লীলতাহানির মামলাটি জামিনযোগ্য। অন্য মামলাটিতে আগাম জামিন চেয়ে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর আদালতে আবেদন জানান মানসবাবু। মামলার শুনানি হবে ৭ এপ্রিল।