সোমবার বড়ঞা থানার সুন্দরপুর গ্রামে প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। ছবি: কৌশিক সাহা।
দলীয় নেতা ও কর্মীদের নিয়ে কর্মী বৈঠক করলেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের ত্রিকেট তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। সোমবার কান্দি পুরসভা সংলগ্ন রামেন্দ্রসুন্দর অডিটোরিয়ামে কর্মী সম্মেলন হয়। ওই বৈঠকে ইউসুফ বলেন, “আমি এখানে পাঁচ বছরের জন্য আসিনি, আপনাদের সঙ্গে আমার জীবনের একটা বড় অংশ আপনাদের সঙ্গে কাটাতে চাই। তাই আপনাদের সহযোগিতা আমার প্রয়োজন।”
ওই দিন দলের মহিলাদের ‘ঘর ঘর কর্মী’ কর্মসূচি ঘোষণা করাছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মহিলারা নিজেদের এলাকায় বাড়ি বাড়ি যাবে। দলীয় একটি ফর্ম দেওয়া হবে। সেখানে রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি যে সমস্ত বাড়ির লোক পাচ্ছেন না, তা লিখিত আকারে নিতে হবে। একই সঙ্গে যে সমস্ত পরিবার বাড়ির টাকা পাওনা আছে তাঁদেরকে একটি ফর্ম দেওয়া হবে। ওই ফর্ম পূরণ করে কাউন্টার পার্ট ওই বাড়ির কর্তৃপক্ষের কাছে রেখে দেবেন। দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “যে ভাবে একশো দিনের কাজের ফর্ম পূরণ করা হয়েছিল, সেই ভাবেই ওই ফর্ম পূরণ করতে হবে। আমাদের সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। এই ফর্মও সেই কাজই করবে।”
ভোট প্রচারে গিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কোন ভাবেই বিবাদে না জড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন অপূর্ব। তিনি বলেন, “প্রচারে গিয়ে অনেকেই অনেক রকম কথা বলবেন, কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কোনও ভাবেই তর্কে জড়িয়ে যাবেন না। হাসি মুখে নিজেদের কাজ করে যাবেন।” যে জেলা একটা সময় কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত ছিল, সেই জেলায় এখন কংগ্রেসের পায়ের নীচে থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে ছ’টি তৃণমূল দখল নিয়েছে। অপূর্ব বলেন, “কংগ্রেসকে এবার তৃতীয় স্থানে যেতে হবে।”
যদিও কান্দি মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি শফিউল আলম খান বলেন, “কথায় আছে ‘ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা’। তৃণমূল নেতাদের এমন কথা ওই কথারই সমান।’’