শরদ পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
আগামী দিনে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কংগ্রেসে মিশে যাওয়ার ‘সম্ভাবনা’ সম্পর্কে এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা শরদ পওয়ারের মন্তব্য ঘিরে চাপানউতোর অব্যাহত মহারাষ্ট্রে। পুণের একটি জনসভায় বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মহাবিকাশ আগাড়ির অন্যতম নেতা তথা বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধব ঠাকরে। পওয়ারের মন্তব্যের সূত্র ধরে বিজেপির জোট সঙ্গী তথা নতুন শিবসেনার নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দে মন্তব্য করেছিলেন, উদ্ধবের শিবসেনাও এ বার যোগ দেবে কংগ্রেসে। তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে উদ্ধব আজ বলেছেন, এই দুই নেতাই (শিন্দে এবং ফডণবীস) এমন ভাবে কথা বলছেন যেন তাঁরা ‘ভাং খেয়ে নেশাগ্রস্ত’!
স্থানীয় রাজনৈতিক শিবিরের মতে, শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে আসার পর থেকেই শিন্দে তৃণমূল স্তরে প্রচার চালাচ্ছেন যে, বালাসাহেবের কংগ্রেস-বিরোধী আদর্শের সঙ্গে আপস করেছেন উদ্ধব। এবং তা পুরোটাই নিজের মসনদ ধরে রাখার স্বার্থে। এই অভিযোগও করা হয়েছে, নিজের আসন ধরে রাখতেই এনসিপির সঙ্গেও একই মঞ্চে এসেছেন উদ্ধব। ভোটের প্রচারে জনতার কাছে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীকে। এই পরিস্থিতিতে ১৩ তারিখ পুণে-সহ মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসনে ভোটের ঠিক আগে পওয়ারের এ হেন মন্তব্য যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে উদ্ধবপন্থীদের। এমনিতেই শরদ পওয়ারের রাজনৈতিক চাল হঠাৎ করেই বদলে যায়, এমনটাই দীর্ঘদিনের প্রবাদ। ভোট চলাকালীন তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়ার প্রসঙ্গটি তুললেন কেন, তা-ও একটি ধাঁধা তৈরি করেছে আগাড়ি জোটের মধ্যে।
এই অবস্থায় উদ্ধব পাল্টা প্রশ্ন তুলে ক্ষত মেরামতির চেষ্টা করেছেন। তাঁর কথায়, “একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তরে পওয়ার সাহেব বলেছেন, কিছু ছোট আঞ্চলিক দল হয়তো কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আপনাদের কি মনে হয়, শিবসেনা একটি ছোট দল?” একই সঙ্গে মোদীকে নিশানা করে উদ্ধবের বক্তব্য, ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো মোদীর হাতে চলতি নির্বাচনে কোনও প্রচারের বিষয় নেই। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমি ছোটবেলায় শুনেছিলাম, কাউকে যদি ভূতে ধরে, তা হলে তাকে রাম রাম করতে হয়! মোদীজি যে হেতু হারের জুজু দেখছেন, গোটা দেশে রাম নাম করে বেড়াচ্ছেন।”