বর্ধমানে ব্যাট হাতে দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটের আগে ব্যাট হাতে মাঠে নামতে বেশ কয়েক বার দেখা গিয়েছে তাঁকে। একের পর এক বল মাঠের বাইরে পাঠিয়েছেন তখন। ভোট মিটে গিয়েছে সপ্তাহ তিনেক হতে চলল। ফলাফল বেরোনোর দিন তিনেক আগে বর্ধমানে এসে আবার ব্যাট ধরলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তবে এ বার খেলতে নেমে এক বার তিনি বোল্ড আউট হলেন। যা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ, এ বার ভোটের মাঠ থেকেও একই ভাবে ‘আউট’ হবেন দিলীপ।
দিলীপ অবশ্য বলছেন, “খেলাধুলো করি, ক্রিকেট খেলি। খেলার মাঠে এমনটা হয়েই থাকে।” তাঁর সঙ্গীরা বলছেন, “রাজনীতির মাঠে যে বলই আসুক না কেন, তিনি সেটা খেলে দেখান, এবং জেতেন। খড়্গপুর, মেদিনীপুর তা দেখেছে। এ বার বর্ধমান-দুর্গাপুরও দেখবে।”
শহরের টাউন হলে দিলীপ ঘোষ শনিবার প্রাতর্ভ্রমণে আসেন। সঙ্গে ছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা এলাকার বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা-সহ কয়েক জন। প্রাতর্ভ্রমণের পরে টাউন হল মাঠে কয়েক জন কিশোর ক্রিকেট খেলছিলেন। তাদের কাছে দিলীপ ব্যাট চেয়ে নিয়ে উইকেটের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। কয়েকটি বল খেলার পরেই তাঁর উইকেট ছিটকে যায়। তবে খেলা ছেড়ে বিজেপি প্রার্থী বেরিয়ে যাননি। আরও কিছু ক্ষণ তাঁকে খেলতে দেখা যায়।
দিলীপের বিপক্ষে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ী দলের সদস্য কীর্তি আজাদ। তিনিও যে ব্যাট ধরতে পারেন, তা ভোটের প্রচারে বার বার দেখাতে চেয়েছেন দিলীপ। তৃণমূলের বর্ধমান শহরের সভাপতি তন্ময় সিংহরায়ের এ দিন মন্তব্য, “ভোটের আগে বিভিন্ন মাঠে ব্যাট হাতে বল বাইরে মাঠে লম্বা-চওড়া ভাষণ দিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। ভোটের পরে সেই ব্যাট হাতে নেমে বোল্ড হয়ে চুপ হয়েছেন। মঙ্গলবার গণনার দিনও এটাই হবে।” বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিতের জবাব, “দিলীপদার হার না মানা মনোভাবের কাছেই হেরে গিয়েছে তৃণমূল। ভোটের দিন তো ওদের মাঠেই দেখা যায়নি।”