রাহুল গান্ধী। —ফাইল ছবি।
অধীর চৌধুরী শুধু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নন। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতাও বটে। অথচ তাঁর হয়ে নির্বাচনী প্রচার করতে একবারও বহরমপুরের মাটিতে পা রাখলেন না কেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী অথবা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে? আজ বহরমপুরে প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সম্প্রতি দক্ষিণ মালদহ আসনে প্রচারে এসেছিলেন খড়্গে। সেখানে তৃণমূলকে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করেন তিনি। তবে, বহরমপুরে অধীরের সমর্থনে প্রচারে দেখা যায়নি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “৪ জুনের পরে তৃণমূলের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকার গড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাই নিরন্তর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুবাক্য বলা অধীরের পাশে থেকে সম্পর্ক ঘোরালো করার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে কংগ্রেস। যতটা তিক্ততা হয়েছে, তার বেশি আর নয়।” তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, “অধীর চৌধুরী যে নিশ্চিত ভাবেই হারছেন, সেই হিসাব কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় রয়েছে। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ইউসুফ পাঠান জিতবেন। যে প্রার্থী হেরে যাবেন, সেখানে গিয়ে নিজেদের জামায় দাগ লাগাতে চায় না কংগ্রেস।”
রাজ্যের অন্যত্র এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে গিয়েছেন, তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চেয়েছিলেন। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব সঙ্গে থাকলেও এ রাজ্যে অধীরের জন্যই জোট হয়নি। অভিষেক এ কথাও বলেছেন, জোট চেয়েছিলেন বলেই দিল্লিতে ভোর ৬টায় রাহুল গান্ধীর বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি! শুধু ‘বিজেপির দালাল’ অধীরের জন্যই সে গুড়ে বালি পড়ে গেল!