প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী। —ফাইল চিত্র।
‘আয়ে হো তো বতা কে যাও’। এই হ্যাশট্যাগের উপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বঙ্গ সফরের আগে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। সৌজন্যে সমাজমাধ্যম। ওই হ্যাশট্যাগ ধরে সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে মূলত দু’টি প্রশ্ন করতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল। দু’টিই ভিন্ন বিষয়ে।
মোদীর উদ্দেশে তৃণমূলের প্রথম প্রশ্ন, ‘‘আমাদের ১০০ দিনের শ্রমিকদের ‘মন কি বাত’ আপনি কবে শুনবেন? আপনার সরকার তো ওই খাতে বরাদ্দ টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলার সমস্ত বঞ্চিত শ্রমিকদের ১০০ দিনের কাজের টাকা মিটিয়ে দিচ্ছে।’’
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগকেই বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে মূল হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। গত বছর পুজোর আগে ১০০ দিনের কাজের ‘বঞ্চিত’দের নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ধর্না দেওয়ার পর কলকাতায় রাজভবনের সামনেও পাঁচ দিন তিনি ধর্নায় বসেন। পরে মমতা জানান, ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র না দিলে রাজ্য সরকারই তা মিটিয়ে দেবে। সেই মতো টাকা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। মোদীর বঙ্গ সফরেও কেন্দ্রের বঞ্চনাকে তুলে ধরছে তৃণমূল।
দ্বিতীয় প্রশ্নটি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে। মোদীর উদ্দেশে তৃণমূলের প্রশ্ন, ‘‘সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে কি আপনি দল থেকে বহিষ্কার করবেন? না কি ওঁর সঙ্গেই এক মঞ্চে থেকে দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রয় দেওয়ার ‘মোদী কি গ্যারান্টি’ প্রমাণ করবেন আরও এক বার?’’
উল্লেখ্য, বুধবারই সন্দেশখালির নেতা শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। তার পরেই তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে ব্রাত্য বসু, ডেরেক ও’ব্রায়েনরা বৃহস্পতিবার একই প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘শাহজাহানকে সাসপেন্ড করে দল হিসাবে তার ভূমিকা পালন করেছে তৃণমূল। কিন্তু বিজেপি কি শুভেন্দু অধিকারীর মতো দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তি দেবে?’’ সমাজমাধ্যমে তৃণমূলের হ্যাশট্যাগে এই প্রশ্নও রাখা হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে রাজ্যে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী। আরামবাগে সভা করবেন তিনি। শনিবার যাবেন কৃষ্ণনগরে। এর পর ৬ মার্চ আবার বাংলায় আসবেন তিনি। সে দিন সভা রয়েছে বারাসতে।