Lok Sabha Election 2024

ভোটের জন্য নেতৃত্ব কি প্রস্তুত, চর্চা সায়নীর প্রশ্নে

গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল। তবে পুরভোট ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্য এলেও দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেতৃত্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ০৮:৫২
Share:

অভিনেত্রী থেকে রাজনৈতিক নেত্রী। বাঁকুড়ায় সায়নী ঘোষ ও রঘুনাথপুর ১ ব্লকের মধুতটীতে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র avijitsinghbnk@gmail.com

ভোট এসে গিয়েছে, খেলতে হবে। আপনারা তৈরি তো? — কর্মীদের নয়, মঞ্চে বসা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে সরাসরি এই প্রশ্ন করলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার হিন্দু স্কুল মাঠে ব্রিগেডের জনগর্জন সভার প্রচার এবং রক্তদান শিবিরের কর্মসূচিতে এসেছিলেন তিনি। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ইঙ্গিত করেই কি সায়নীর এই মন্তব্য, চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement

সভায় সায়নী বলেন, ‘‘লোকসভা ভোট এসে গিয়েছে। ওনারা (মঞ্চের সামনে থাকা কর্মী-সমর্থকদের ইঙ্গিত করে) তৈরি বলে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমি এ বার আপনাদের জিজ্ঞেস করব (মঞ্চে বসা নেতাদের দিকে তাকিয়ে) আপনারা তৈরি তো?’’ মঞ্চের নেতারা বলে ওঠেন, ‘‘আমরা তৈরি।’’ সায়নীর সংযোজন, ‘‘অরূপদা (তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী) যা হাসি দিয়েছেন, তাতে খেলা হয়ে গিয়েছে বলেই মনে হয়।’’

গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল। তবে পুরভোট ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্য এলেও দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেতৃত্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে একজোট হয়ে নির্বাচনে নামানোই বড় লক্ষ্য রাজ্য নেতৃত্বের। সায়নীও বলেন, ‘‘আমরা একজোট হয়েই লড়ব।’’

Advertisement

বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সায়নী বলেন, ‘‘দু’টি কেন্দ্রেই বিজেপির সাংসদ। অথচ তাঁরা একশো দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা আদায়ের জন্য কেন্দ্রের কাছে একবারও দাবি করেননি। উল্টে টাকা আটকে দিতে বলেছেন।’’

বান্দোয়ানের চকবাজারের সভাতেও তৃণমূলের রাজ্য নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি বলে অভিযোগ তোলেন। পরে পুরুলিয়া ১ ব্লকের চাকদা গ্রামেও দেবাংশু মূল্যবৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রের বিজেপিকে সরকারকে দায়ি করেন। বিজেপির এসটি মোর্চার রাজ্য সম্পাদক পার্সি মুর্মুর পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘ভাতা দেওয়া ছাড়া বান্দোয়ানবাসীকে তৃণমূল সরকার কী দিয়েছে?’’

সভা শেষে তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ দলীয় কর্মীদের সতর্ক করে বলেন, ‘‘খবর আছে, বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করে মিথ্যা মামলায় তৃণমূল কর্মীদের ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেছেন। বিজেপি কর্মীদের দিয়ে নিজের গাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূলের কর্মীদের ফাঁসানোর চক্রান্ত করেছেন তিনি। সবাই সতর্ক থাকবেন।’’

বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলের দাবি, ‘‘প্রচারের শুরুতেই সুভাষদার জনপ্রিয়তা দেখে তৃণমূল নেতাদের আত্মবিশ্বাস টলে গিয়েছে। তাই ভুলভাল বকছেন। অতীতে সুভাষদার উপরে তৃণমূল কর্মীরা একাধিকবার হামলা করেছে। আগামী দিনে এমনটা ঘটলে কেউ রেহাই পাবে না।’’

বাঁকুড়ায় যুব তৃণমূলের আয়োজিত শিবিরে এক হাজারের বেশি মানুষ রক্তদান করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement