adhir chowdhury

অধীরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে গেল তৃণমূল! অভিযোগ, অনুমতি ছাড়া লালদিঘিতে গিয়েছিলেন

পচা মাছের দুর্গন্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা হচ্ছে, এই খবর পেয়ে লালদিঘি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু দিঘির ‘মালিক’ বহরমপুর পুরসভার কাছ থেকে তিনি অনুমতি নেননি বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:০৬
Share:

অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।

পুরসভার সম্পত্তিতে অনুমতি না নিয়ে প্রবেশ করেছেন। এই অভিযোগে বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। যদিও বিষয়টিতে বিশেষ আমল দিতে নারাজ অধীর। তিনি একে ‘হাস্যকর’ বলে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন।

Advertisement

বহরমপুরে লালদিঘিতে অস্বাভাবিক হারে মাছ মরে যাওয়ার ঘটনায় গত কয়েক দিন ধরে শোরগোল এলাকায়। পচা মাছের দুর্গন্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা হচ্ছে, এই খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে লালদিঘি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর। কিন্তু সেখানে ঢোকার আগে ওই দিঘির ‘মালিক’ বহরমপুর পুরসভার কাছ থেকে অধীর কোনও অনুমতি নেননি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল।

পুরসভা সূত্রে খবর, ওই দিঘি এবং সংলগ্ন পার্ক সাধারণের জন্য বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বহরমপুর পুরসভার সম্পত্তি লালদিঘি পার্কে অধীর চৌধুরী গায়ের জোরে ঢুকেছিলেন।’’ লিখিত অভিযোগে নাড়ুগোপাল জানিয়েছেন, অধীরের নির্দেশে তাঁর আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী লালদিঘির জলে বিষ মিশিয়ে মাছ মেরেছে। এর ফলে লালদিঘির জল এক দিকে যেমন দূষিত হয়ে পড়েছে, যাঁরা দিঘির জলে স্নান করতে আসেন, তাঁদের পক্ষেও এখন দিঘিতে স্নান করা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

পুরসভার চেয়ারম্যান তাঁর লিখিত অভিযোগে আরও জানিয়েছেন, অধীর প্ররোচনামূলক মন্তব্যের মাধ্যমে এলাকার শান্তি ভঙ্গ করার পাশাপাশি পুরসভার বোর্ডকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন, যা নির্বাচনী আইনের ৫ এবং ৬ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

তৃণমূলের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে অধীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘এর চাইতে হাস্যকর আর কিছু হতে পারে! ন্যূনতম রাজনৈতিক জ্ঞান থাকলে এই রকমের হাস্যকর অভিযোগ কেউ করে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement