Chhagan Bhujbal

সহানুভূতির হাওয়া উদ্ধব-শরদের পক্ষে, দাবি ভুজবলের

প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি জোট বেঁধেছিল শিবসেনার সঙ্গে। সে বার রাজ্যে ২৫টি আসনে লড়াই করে ২৩টি জিতেছিল পদ্ম শিবির।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৫১
Share:

ছগন ভুজবল। ছবি: পিটিআই।

লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পওয়ারের পক্ষে সহানুভূতির হাওয়া বইছে— এমনই মন্তব্য করলেন অজিত শিবিরের নেতা ছগন ভুজবল। এক সাক্ষাৎকারে প্রবীণ এই নেতা জানিয়েছেন, যে ভাবে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ও শরদ পওয়ারের এনসিপি ভেঙে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তাতে জনমানসে এই দুই নেতার প্রতি সহানুভূতি তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী জনসভায় তার প্রতিফলনও দেখা গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ভুজবল। এই মন্তব্যের জেরে স্বভাবতই অস্বস্তিতে তাঁর দল।

Advertisement

প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি জোট বেঁধেছিল শিবসেনার সঙ্গে। সে বার রাজ্যে ২৫টি আসনে লড়াই করে ২৩টি জিতেছিল পদ্ম শিবির। তার পরে এনডিএ ছেড়ে শিবসেনার কংগ্রেস ও এনসিপি-র সঙ্গে জোট এবং উদ্ধবের মুখ্যমন্ত্রীর মসনদ দখল ঘিরে সরগরম থেকেছে রাজ্য রাজনীতি। তবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যায় ২০২২ সালে। শিবসেনা ভেঙে একনাথ শিন্দে বিধায়ক ভাঙিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধেন। পরে একই পথে হাঁটেন অজিত পওয়ারও।

উদ্ধব ও শরদের দল ভেঙে যে ভাবে রাজ্য রাজনীতির পাশা উল্টে দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন ভুজবল। যদিও তাঁর দাবি, এখনও সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নরেন্দ্র মোদীর প্রতি অটুট। মানুষ চান, শক্তিশালী সরকার।

Advertisement

ভুজবল এ বার নাশিক থেকে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে লড়তে চেয়েছিলেন। যদিও প্রার্থী ঘোষণায় দেরির জন্য তিনি পিছিয়ে যান। দ্রুত ওই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণারও দাবি জানিয়েছেন। আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় এই কেন্দ্রে ভোট। দিন এগিয়ে এলেও এখনও দলের প্রার্থী ঘোষণায় গড়িমসির অভিযোগ তুলেছেন।

গত নভেম্বরে মরাঠাদের ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে মতানৈক্য হয় ভুজবলের সঙ্গে রাজ্যের শাসক শিবিরের। এর পরে নাশিকের প্রার্থী ঘোষণায় বিলম্ব। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের প্রশ্ন, সেই ক্ষোভের জন্যই কি উদ্ধব-শরদের পক্ষে সহানুভূতির হাওয়ার কথা বলে একনাথ-অজিতদের অস্বস্তিতে ফেললেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ? যদিও উদ্ধব-শরদ শিবিরের কেউ কেউ মনে করছেন, দেওয়াল লিখন পড়ে ফেলেছেন ভুজবল। সেই ইঙ্গিতই উঠে এসেছে মহারাষ্ট্রের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদের কথায়। সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement