জাতীয় নির্বাচন কমিশন। — ফাইল চিত্র।
টুপি-পাগড়ি তো বটেই, ভোট দিতে বুথের ঘেরাটোপে পা রাখার আগে মুখটুকু আড়াল করা ‘ফেসকভার’, চালু লব্জে ‘মাস্ক’ পরাও চলবে না, এমনটাই কমিশনের নির্দেশ!
পাকাপোক্ত লেটারহেডে আগমার্কা সিলমোহর, মায় মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের নিখুঁত সইটুকু-সহ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ হেন খবরটি আদতে যে ‘সর্বৈব মিথ্যা’, জানিয়ে দিয়ে হাঁফ ছেড়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে, এমনতরো ‘ফেক নিউজ়’-এর ঠেলায় তাঁদের যে নাভিশ্বাস উঠেছে জানাতে কসুর করছেন না কমিশনের তাবড় কর্তারা। কারণ, সমাজমাধ্যমে অহরহ ছড়িয়ে পড়া এমনই অজস্র ‘ফেক’ বা ভুয়ো খবরের রটনা সামাল দেওয়া তাঁদের কাছে এখন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার চেয়েও বড় হ্যাপা।
ফেক নিউজ়ের সেই তালিকায়, টুপি-পাগড়ির নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে হাতঘড়ি, রোদ চশমা এমনকি আংটিও! সম্প্রতি আরও এক ভুয়ো খবরে বলা হয়েছে, বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে নির্বাচনের দিন সকাল থেকে কোনও ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে না। ভাইরাল হওয়া আরও এক ফেক নিউজ় বলছে, ভোট গণনা কেন্দ্রের ৫০০ মিটারের মধ্যে নির্দিষ্ট দু’টি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এ সবই ভুয়ো।
কমিশনের কর্তারা জানাচ্ছেন, ভোট নিয়ে নিত্য দিন ভুয়ো খবর সমাজমাধ্যমে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে। যার অধিকাংশই আবার কমিশনের ‘ফেক অর্ডার’ বা ভুয়ো নির্দেশিকা। যা এমন দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে যে, তার সত্যি-মিথ্যা যাচাই করা সাধারণের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। কমিশন সূত্রে খবর, এই সব ভুয়ো খবরের অধিকাংশেই কমিশনের লেটারহেড, লোগো এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সই-ও ব্যবহার করা হয়েছে।
এমন ‘ফেক নিউজ়ের মোকাবিলায় সম্প্রতি ‘মিথ ভার্সেস রিয়েলিটি’ নামে যে নতুন মাইক্রো ওয়েবসাইট চালু করেছে কমিশন, সেখানেই ভুয়ো খবর সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সঙ্গে ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারেও নেমেছে কমিশন।