— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনের ক্ষেত্রেও ভোট সামগ্রী বিতরণ কেন্দ্রগুলিতে রাজ্য সরকারের চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে বলে ফের অভিযোগ তুলল বিজেপি। শনিবার হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, গত বিধানসভা নির্বাচনের মতো এ বারও নির্বাচন কমিশন ও আদালতের নিষেধ অমান্য করে হাওড়ার নির্বাচনী আধিকারিকেরা হাওড়া পুরসভার চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মচারীদের ভোটের কাজে লাগাচ্ছেন।
যদিও হাওড়ার জেলাশাসক তথা হাওড়ার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পি দীপপ প্রিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীদের কোনও ভাবেই ভোট প্রক্রিয়ায় শামিল করা হচ্ছে না। তাঁরা ভোট গ্রহণ কেন্দ্রেও থাকবেন না। মূলত
ভোট সামগ্রী বিতরণ কেন্দ্রের কাউন্টারগুলিতে ইভিএম তুলে দিয়ে সাহায্য করার জন্য তাঁদের নেওয়া হয়েছে। আমরা এ নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
এ দিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে হাওড়া সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করেন, হাওড়ার নির্বাচনী আধিকারিকেরা গত বিধানসভা নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও ফের অস্থায়ী কর্মীদের ভোটের কাজে নিয়েছেন। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর পরে একটি কাগজে লেখা ৮৫ জনের নামের তালিকা দেখিয়ে রথীন বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ৮৫ জনের নামের তালিকা আমাদের হাতে এসেছে। এই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি হবে। এ ভাবে যদি ভোট হয়, তা হলে সেটি অবৈধ নির্বাচনের তালিকায় পড়ে যাবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচন বাতিল করার জন্য আদালতে মামলা করব।’’
বিজেপি প্রার্থীর দাবি, নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধিতে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে যে, কোনও অস্থায়ী সরকারি কর্মীকে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু বর্তমানে সেই নির্দেশ অগ্রাহ্য করে হাওড়ার নির্বাচন দফতর ভোট সামগ্রী বিতরণ কেন্দ্রের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে। যেখানে ইভিএমে কারচুপি করার সুযোগ রয়েছে।
এ দিন রথীন বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টির বিবরণ দিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, রাজ্যের মুখ্য
নির্বাচনী আধিকারিক এবং হাওড়ার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। ওই অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে ভোট করালে তো পুরো ভোটটাই অবৈধ হয়ে যাবে। এটা মনে রাখা দরকার।’’