দিল্লিতে তেজস্বী যাদব। বুধবার। ছবি: পিটিআই।
লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরেই দিল্লিতে কারা সরকার গড়বে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। যে হেতু বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি এবং যে হেতু সরকার গড়তে তাদের ভরসা করতে হবে শরিকদের উপরেই, তাই স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠেছে, এনডিএ-র সেই শরিকদের বিরোধীরা ভাঙিয়ে নিতে পারে কি না। এমন পরিস্থিতিতে লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব জল্পনা আরও উস্কে দিলেন। দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বললেন, ‘‘এখনই এত উতলা হবেন না। একটু ধৈর্য ধরুন, আর দেখতে থাকুন এ বার কী কী হয়!’’
ঘটনাচক্রে তেজস্বী যখন এ কথা বলছেন, তার কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি একই বিমানে সফর করেছেন এনডিএ শরিক জেডিইউ প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে। ঘটনাচক্রে যে নীতীশের হাত ধরে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র পত্তন। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে হঠাৎই ইন্ডিয়া ছেড়ে এনডিএ-র হাত ধরেছিলেন তিনি। এ হেন নীতীশ এখন বিজেপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ সরকার গড়ার জন্য। আবার কেন্দ্রে যদি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ সরকার গড়তে চায়, তবে তাদেরও প্রয়োজন হবে নীতীশকে।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে বৈঠক ডেকেছেন ‘ইন্ডিয়া’ নেতৃত্ব। আর সেই বৈঠকে যোগ দিতে আসা তেজস্বী দিল্লিতে পৌঁছেছেন নীতীশের সঙ্গে একই বিমানে। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নীতীশের সঙ্গে কি কোনও কথা হল? জবাবে তেজস্বী বলেন, ‘‘কথা আর কী হবে? নমস্কার, প্রণাম, কুশল-মঙ্গল— এ সবই হল।’’ তার পরেই সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে তেজস্বীর মন্তব্য, ‘‘একটু ধৈর্য ধরুন। দেখতে থাকুন আগামী দিনে কী কী হয়!’’
তবে আগামী দিনে সত্যিই কিছু হবে কি না, তা দেখতে আপাতত নজর থাকবে ইন্ডিয়ার সন্ধ্যার বৈঠকের জন্য। যে বৈঠক বসবে সন্ধ্যা ছ’টায়। যে বৈঠকের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘বুধবার ইন্ডিয়ার জনবন্ধন নেতারা সন্ধ্যা ৬টায় সাক্ষাৎ করবেন রাজাজি মার্গে। ঠিক করবেন লোকসভা ভোটের ফলাফল এবং তার পরবর্তী রণকৌশল।’’