বাজেয়াপ্ত টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে পর্যটককে। ছবি: সংগৃহীত।
নগদ টাকা নিয়ে ঘুরতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন এক পর্যটক। নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ায় সেই নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। যদিও সেই টাকার নথি খতিয়ে দেখার পর পর্যটককে ফেরতও দিয়ে দেওয়া হয়। এমন ঘটনায় পর্যটকের পাশে দাঁড়িয়ে অনেকই প্রশ্ন তুলেছেন, নির্বাচনী আচরণবিধির নামে লোকজনকে হয়রানি করা হচ্ছে!
পঞ্জাব থেকে তামিলনাড়ু সপরিবার বেড়াতে গিয়েছিলেন এক পর্যটক। গাড়ি নিয়েই তাঁরা দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্য ভ্রমণে গিয়েছিলেন। নির্বাচনে যাতে অবৈধ টাকা ব্যবহার না হয়, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন সকল রাজ্যকে নজরদারি চালাতে নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ায় নীলগিরি জেলাতে সেই নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। নাকাতল্লাশি চালানোর সময় ওই পর্যটকের কাছে থেকে নগদ ৬৯,৪০০ টাকা উদ্ধার হয়। এই টাকার উৎস কী, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, ইত্যাদি প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ওই পর্যটক পরিবারকে।
পর্যটকের দাবি, তাঁরা পুলিশ আধিকারিকদের জানান, ভ্রমণ করতে বেরিয়েছেন। সে জন্যই এই টাকা রয়েছে তাঁদের সঙ্গে। অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করার কোনও উদ্দেশ্যও নেই তাঁদের। পুলিশের তরফে যখন জানানো হয় যে, ১৬ মার্চ থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। আর সেই নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে। পর্যটকের দাবি, পুলিশের কাছে তিনি জানান যে, নির্বাচনী আচরণবিধি যে চালু হয়ে গিয়েছে, সেই সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন না। পুলিশের তরফে জানানো হয়, বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা নীলগিরি জেলার রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠানো হবে। তিনি এই টাকার উৎস এবং নথি খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট হলে তবেই ফেরত পাওয়া যাবে। সোমবার রিটার্নিং অফিসার পর্যটকদের নথি খতিয়ে দেখার পর সেই টাকা ফেরত দিয়ে দেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কোনও ব্যক্তি নগদ ৫০ হাজারের বেশি টাকা, ১০ হাজারের বেশি দামের কোনও উপহার বহন করলে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হবে। যদি সেগুলির সঠিক তথ্য দেখাতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, তা হলেই সেই টাকা বা উপহার ফেরত দেওয়া হবে।