সুজাতা মন্ডল। —ফাইল চিত্র।
বড় ফুল, ছোট ফুল বিতর্কে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের মন্তব্য সম্পর্কে তদন্ত রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা করল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।
ভোটের বেলায় বড় ফুল, চাওয়ার বেলায় ছোট ফুল মানা হবে না— সম্প্রতি ওন্দার নতুনগ্রামে জনসংযোগে গিয়ে এক মহিলা ভোটারকে এমনই কথা শুনিয়েছিলেন সুজাতা। ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করে সুজাতার বিরুদ্ধে কমিশনে ভোটারকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছিল বিজেপি। সদ্য সেই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট কমিশনে জমা করেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, ‘‘বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তার তদন্ত করে রিপোর্ট কমিশনে জমা করা হয়েছে।’’ ওই বিতর্কের পরেই দল সুজাতাকে ভেবে কথা বলার নির্দেশ দেয়। তবে সুজাতার ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ করেছে কি না তা নিয়ে যথারীতি সরব হয়েছেন ওন্দার বিধায়ক তথা বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখা। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘সুজাতা এক বয়স্ক মহিলার সঙ্গে যে ভাবে কথা বলেছিলেন, তা কার্যত হুমকির শামিল ছিল। তৃণমূল এলাকায় না ভোটে ‘লিড’ পেলে ভোটারেরা বঞ্চিত হবেন, এমনই বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কমিশনের উচিত তদন্ত রিপোর্ট দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া। তবে এখানের প্রশাসন আদৌ কতটা নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। তা নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে।’’
এ দিকে সুজাতাও পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি তুলেছেন তিনি। সুজাতা বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার কর্মীদের বলেছেন, যে বুথে বেশি ‘লিড’ হবে সেই বুথে সাংসদ তহবিলের কাজও বেশি হবে। বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ সব সময়ই সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলে উস্কানি দিতে চাইছেন। বিজেপি প্রার্থীরা ছাড় পাবেন কেন?’’
তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন সুভাষ ও সৌমিত্র। সৌমিত্র বলেন, ‘‘নির্বাচন বিধির বিরোধী কোনও মন্তব্য আমরা করি না। এই নির্বাচন কলতলার ঝগড়া করার মঞ্চ নয়। এটা দেশকে রক্ষা করার লড়াই। প্রতিপক্ষের প্রার্থী হয়তো সেটা উপলব্ধিই করতে পারছেন না।’’