নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল ছাড়া, দার্জিলিং আসনে কোনও দলেরই প্রার্থী ঘোষণা এখনও হয়নি। বিজেপি থেকে কংগ্রেস শিবিরে রোজ চলছে আলোচনা, বৈঠক। আর সেখানেই উঠে আসছে দুটো নাম— বিমল গুরুং আর অজয় এডওয়ার্ড।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বা হামরো পার্টির দুই সভাপতি এ বার লোকসভা ভোটের কাকে সমর্থন করবেন, নাকি নিজেরাই প্রার্থী দেবেন তা এখনও স্পষ্ট করেননি। তবে রোজই প্রায় দুই দলের অন্দরে চলছে বৈঠক। দু’জনের সাংগঠনিক ক্ষমতা আপাতত পাহাড়ের রাজনীতিতে বিরাট কিছু না হলেও ভোটের মার্জিন বাড়ানোর কাজে তাঁরা যে কাউকে এগিয়ে দিতে পারেন তা পরিষ্কার। তাই ভিতরে ভিতরে কংগ্রেস ও বিজেপি শিবির থেকে যোগাযোগ চলছে দু’দিকেই।
চলতি সপ্তাহেই হামরো পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভা হয়েছে। সেখানে তৃণমূল প্রার্থীর বিরোধিতা করা হয়। অজয় এডওয়ার্ড বলেছেন, ‘‘আমরা লোকসভা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি ঠিকই। তবে দ্রুত তা ঠিক হবে।’’ আর এ সপ্তাহের গোড়াতেই গুরুংয়ের দলের জনমুক্তি যুব মোর্চার বৈঠক হয়। সেখানে নেতারা গুরুংকেই প্রার্থী করার প্রস্তাবের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেন। তবে গুরুং বলেছেন, ‘‘যুব মোর্চার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। প্রার্থী হওয়া বা কাউকে সমর্থন করাটা ঠিক হয়নি। যা হবে তা প্রকাশ্যে ঘোষণা হবে।’’
কিছু দিন আগে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় শামিল হয়েছিলেন অজয়। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাহাড় সমস্যা কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে রাখার আবেদন জানিয়ে আসেন। রাহুল-সহ একাধিক নেতার সঙ্গে কথাও বলেন অজয়। দলীয় সূত্রের খবর, অনেকে তাই মনে করছেন, কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকার জন্য অপেক্ষা করছেন অজয়। কংগ্রেসকে সমর্থন করার দিকেও হাঁটতে পারেন। দলীয় ভাবে তা না করা হলে, ভোটে কাউকে দল সমর্থন না-ও করতে পারে। দার্জিলিং সদর, কালিম্পং-সহ পাহাড়ে নিজেদের মতো সংগঠন তৈরি করেছে হামরো পার্টি।
বিজেপির রাজু বিস্তার সঙ্গে গুরুংয়ের সম্পর্ক ভাল। যদিও গত তিন বছরে আরও কিছুটা সংগঠন ‘কমজোরি’ হয়েছে গুরুংয়ের। তা-ও তিনি কিয়দংশে ভোটের হিসাব পাল্টাতে এখনও সক্ষম বলেই নেতারা মনে করেন।
প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাং বলেছেন, ‘‘কারা কার পাশে আছেন, তা কয়েক দিনেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’