রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে বসার আহ্বানে রাহুল গান্ধী সাড়া দেওয়ার পর থেকেই বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র পাশাপাশি বিজেপি শিবিরেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের নেতাদের একাংশের বক্তব্য, রাহুলের এই ধরনের প্রস্তাবে সাড়া দেওয়া উচিত নয়। কারণ মোদী তথা বিজেপি বরাবরই লড়াইটা ‘রাহুল বনাম মোদী’ হিসেবে তুলে ধরতে চান। তা ছাড়া রাহুল ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের প্রধানমন্ত্রী মুখও নন। ফলে তিনি ওই প্রস্তাবে সাড়া দিলে অন্য বার্তা যাবে।
এ বারে সেই সুরে বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানিও প্রশ্ন তুলে বললেন, ‘‘রাহুল কি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নাকি? যে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতো এক জনের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে বসতে চান?’’
স্মৃতির এই বক্তব্যের মধ্যে বিরোধী শিবিরে প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব উস্কে দেওয়ার কৌশল রয়েছে বলে মনে করছেন কংগ্রেসের একাংশ। তাঁরা অবশ্য স্মৃতির এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ব্যঙ্গ করতেও ছাড়ছেন না। কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, রাহুল গান্ধী মুখ খুলেছেন বলেই সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পাওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে মন্তব্য করেছেন স্মৃতি। অথচ কংগ্রেস তাঁকে গুরুত্বই দেয় না। তা ছাড়া, প্রজ্বল রেভান্নার যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল হলেও সে সময় স্মৃতি মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন। ফলে ওঁকে অকারণে গুরুত্ব দেওয়া অর্থহীন।
বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমেও স্মৃতিকে আক্রমণ শানিয়ে অনেকেই বলেছেন, ‘রাহুল মুখ খুলতেই মোদীর মন্ত্রিসভার রাহুল বিষয়ক মন্ত্রী আসরে নেমে পড়েছেন! অথচ প্রজ্বল প্রসঙ্গে ওঁর কোনও মন্তব্যই পাওয়া যায়নি।’