Lok Sabha Election 2024

সিএএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ শান্তনুর

মঙ্গলবার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তনু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক সভামঞ্চ থেকে দাবি করছেন, যাঁদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড আছে, যাঁরা ভোট দেন, তাঁরা নাগরিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:১০
Share:

শান্তনু ঠাকুর। — ফাইল চিত্র।

১৯৭১ সালের পরে ভারতে আসা উদ্বাস্তুরা সংবিধান অনুযায়ী এ দেশের নাগরিক নন বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। সিএএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যাচার করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে মুখোমুখি বিতর্ক সভায় বসার চ্যালেঞ্জও জানান শান্তনু। তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস পাল্টা বলেন, ‘‘যে সব উদ্বাস্তু মানুষের ভোটে জিতে শান্তনু ঠাকুর সাংসদ-মন্ত্রী হলেন, তাঁরা যদি বে-নাগরিক হন, তা হলে তো শান্তনুর সাংসদ পদ ও মন্ত্রিত্বও বেআইনি।”

Advertisement

মঙ্গলবার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তনু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক সভামঞ্চ থেকে দাবি করছেন, যাঁদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড আছে, যাঁরা ভোট দেন, তাঁরা নাগরিক। কিন্তু তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবর রহমানের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী ১৯৭১ সালের পরে যাঁরা এ দেশে এসেছেন, তাঁরা সংবিধান অনুযায়ী নাগরিক নন। তাঁদের নাগরিক হওয়ার দরকার।’’ শান্তনুর মতে, তাঁরা যদি এই দেশের নাগরিকদের মতো অধিকার ভোগও করেন, তাও তাঁদের নাগরিক হওয়া উচিত। কারণ, তা না হলে পরে কোনও সরকার তাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে পারে।

মুখ্যমন্ত্রীকে বিতর্ক সভায় আহ্বান জানিয়ে শান্তনু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কোনও অধিকার নেই নাগরিকত্ব দেওয়ার। বসুন আমার সঙ্গে। দেখব, আপনার সংবিধান নিয়ে কত জ্ঞান আছে।’’ সিএএ-তে আবেদন করলে উগ্রপন্থী ও আল কায়দা ছাড়া কারও নাম কাটা যাবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।নাগরিকত্বের আবেদনের জন্য অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে যে সব নথি চাওয়া হয়েছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement