প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। ছবি: পিটিআই।
প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা দমন ও দিউ থেকে লোকসভায় প্রার্থী হবেন কি না, সে ক্ষেত্রে গুজরাতে কংগ্রেসের ফায়দা হবে কি না, এই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই আজ গুজরাতের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অর্জুন মোঢওয়াড়িয়া দল থেকে ইস্তফা দিলেন।
মহাত্মা গান্ধীর জন্মস্থান পোরবন্দরের বিধায়ক অর্জুন অতীতে গুজরাতের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতাও থেকেছেন। আজ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে ইস্তফার চিঠি পাঠিয়ে মোঢওয়াড়িয়া রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের যোগ না দেওয়া নিয়ে তাঁর অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। ওই দিন রাহুল গান্ধী অসমে গন্ডগোল তৈরির চেষ্টা করেছিলেন বলে কংগ্রেসের কর্মী ও ভারতের নাগরিকরা ক্ষুব্ধ বলেও অভিযোগ তুলেছেন। মোঢওয়াড়িয়ার আগেই গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অম্বলীশ ডের ইস্তফা দেন। মনে করা হচ্ছে, তাঁরা দু’জনেই লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেবেন।
এ দিকে সোমবার সকালেই দমন ও দিউয়ের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কেতন পটেল জানিয়েছিলেন, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে প্রার্থী হতে পারেন। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড তাঁকে বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে, বুথ ভিত্তিক পরিসংখ্যান জোগাড় করতে বলেছেন বলেও কেতন জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, প্রিয়ঙ্কা দমন ও দিউ থেকে লড়লে দক্ষিণ গুজরাত ও সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে বিজেপি লাভবান হবে। ১৯৮৭ সালে দমন ও দিউ লোকসভা কেন্দ্র তৈরির পরে কখনও কংগ্রেস, কখনও বিজেপি এই কেন্দ্রে জিতেছে।
১৯৯৯ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এই কেন্দ্র কংগ্রেসের দখলে থাকলেও গত ১৫ বছর এই লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে। বিজেপি ইতিমধ্যেই বর্তমান সাংসদ লালুভাই পটেলকে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। গত দু’টি লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের হয়ে কেতন পটেল নিজেই বিজেপির কাছে হেরেছেন। কিন্তু তাঁর দাবি, প্রিয়ঙ্কা প্রার্থী হলে এই আসনে কংগ্রেস বিপুল ভোটে জিতবে।
তবে গান্ধী পরিবারের হাতে রায়বরেলীর মতো দুর্গ থাকতে কেন প্রিয়ঙ্কাকে দমন ও দিউ থেকে ভাবা হচ্ছে, তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। আজ কংগ্রেস সভাপতি খড়্গের বাড়িতে লোকসভা ভোটের প্রচার ও রণকৌশল নিয়ে বৈঠকে প্রিয়ঙ্কা হাজির ছিলেন। তিনি আজ হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস সরকারের বিপদ নিয়ে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী, মন্ত্রী অনিরুদ্ধ সিংহের সঙ্গে দশ জনপথে বৈঠকও করেন।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রার্থী তালিকা নিয়ে ৭ মার্চ কংগ্রেসের প্রথম কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হবে। প্রথম দফায় দিল্লি, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, কর্নাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যের প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত হতে পারে।