পুলিশের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ। —নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত এ বার পুলিশ! অভিযোগ, শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের মারে জখম হলেন পুলিশের তিন জন। তাঁদের মধ্যে এক জন এএসআই, এক জন পুলিশ কনস্টেবল ও এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার।
গত মঙ্গলবার ভোটগ্রহণের পর মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রানিনগর থানার অন্তর্গত মালিবাড়ি-১ অঞ্চলের মরিচা নিচুপাড়া এলাকায় বাম-কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা হয়েছিল। অভিযোগ, অনেকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনারই তদন্তে গিয়েছিল রানিনগর থানার পুলিশ। সেই সময়েই পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পর্যায়ক্রমে তা হাতহাতিতে গড়ায়। অভিযোগ, শাসকদলের কর্মীদের মারে জখম হন পুলিশের এক এএসআই ও এক কনস্টেবল। এক সিভিক ভলান্টিয়ারও জখম হয়েছেন।
এই ঘটনার পরেই বিরাট পুলিশবাহিনী এলাকায় পৌঁছয়। সেই সময় পুলিশের বিরুদ্ধেও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় এখনও বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে এলেও পরিবেশ থমথমেই রয়েছে।
জোটের স্থানীয় নেতা আশরাফ শেখ বলেন, ‘‘ভোট শেষ হওয়ার পর থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আমরা থানা ও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ তদন্ত এলে পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। পুলিশকে ব্যাপক মারধর করা হয়। পুলিশ নিজেই যেখানে নিরাপদ নয়, সেখানে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়, সেটা বুঝে নিন।’’ পাল্টা তৃণমূল কর্মী সোলেমান আলি বলেন, ‘‘তৃণমূল করার অপরাধে জোটকর্মীরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। পুলিশ তদন্তে এসে আমাদেরই বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে।’’