—ফাইল চিত্র।
তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। অথচ প্রতিবেশী পাকিস্তান এখনও জয়ের জন্য অভিনন্দনই জানায়নি তাঁকে। রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতিভবনে মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। তার আগের দিন, শনিবার পাকিস্তান ব্যাখ্যা দিল, কেন মোদীকে শুভেচ্ছা জানায়নি তারা।
প্রচলিত দস্তুর অনুযায়ী প্রতিবেশী বা ‘বন্ধু’ দেশে নির্বাচন জয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এটি কূটনৈতিক সৌজন্যের মধ্যেই পড়ে। এর আগে ভারতও ভোটে জয়ী পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল বা দলনেতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। পাকিস্তানও জানায়নি তা নয়। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পর তারা এ ব্যাপারে উচ্চবাচ্য করেনি।
ফলে প্রশ্ন উঠেছিল, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে কি উন্নতি চাইছে না পাকিস্তান, এর জবাবে পাকিস্তানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, ‘‘পাকিস্তান ভারত-সহ সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই সখ্য এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায়’’। তা হলে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তাঁর তৃতীয়বারের জয়ের জন্য পাকিস্তান শুভেচ্ছা জানায়নি কেন? এ প্রশ্নের জবাবে বালোচ বলেন, ‘‘কোন দেশ নেতা হিসাবে কাকে বেছে নেবে সে ব্যাপারে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। আমরা মনে করি ভারতের নাগরিকদের তাদের পছন্দের সরকার বেছে নেওয়ার অধিকার আছে।’’ সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানান যে, যেহেতু ভারতের নতুন সরকার এখনও গঠন হয়নি এবং প্রধানমন্ত্রীর শপথ হয়নি তাই এ নিয়ে এখনই কথা বলা অর্থহীন।
ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের উন্নতি প্রসঙ্গে পাকিস্তানের বিদেশ দফতরের বক্তব্য, ‘‘পাকিস্তান সব সময়েই চেয়ে এসেছে দু’দেশের মধ্যে যাবতীয় সমস্যা মিটুক। এব্যাপারে গঠনমূলক আলোচনাতেও আগ্রহী তারা। বিশেষ করে জম্মু এবং কাশ্মীরের মত যে সমস্ত বড় মাপের সমস্যা রয়েছে দু’দেশের মধ্যে। সেই সমস্যাও মেটানো জরুরি বলে মনে করে পাকিস্তান।’’
ভারতও পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে বরাবর আগ্রহ দেখিয়ে এসেছে। তবে একই সঙ্গে তারা বলেছে, এই আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সন্ত্রাসজনিত সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে। ভারতের বক্তব্য, দু’দেশের মধ্যে সন্ত্রাসমুক্ত আবহ তৈরি করার দায় পাকিস্তানেরই।