—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লোকসভা ভোটের আগে তাঁতশিল্প-অধ্যুষিত শান্তিপুরে তাঁত শ্রমিকদের কাছে টানার প্রয়াস শুরু হয়েছে। রাজ্য বাজেটে তাঁতশিল্পীদের জন্য একগুচ্ছ প্রস্তাব নিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রচার চলছে। পাশাপাশি, তাঁত সমবায়ের উপরেও জোর দিচ্ছে তারা। এতে অনেক বেশি সংখ্যক তাঁত শ্রমিককে একত্রিত করা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের ওই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা।
নদিয়ার দক্ষিণে শান্তিপুর নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে দড়ি টানাটানি রয়ে গিয়েছে আগে থেকেই। কখনও এখানে তৃণমূল এগিয়েছে, আবার কখনও বা বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি দখল করলেও তাঁতশিল্প-অধ্যুষিত বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূল দাপট দেখিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগেও তাই শান্তিপুরের অন্যতম ভোট ব্যাঙ্ককে নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া দুই পক্ষই।
শান্তিপুরে তাঁতশিল্পীরা রয়েছেন। তৃণমূলের তরফে তাঁতশিল্পীদের জন্য সংগঠনও তৈরি হয়েছে। শান্তিপুরে তাঁতশিল্পীদের জন্য রাজ্য স্তরের সম্মেলন হয়ে গিয়েছে। তাঁদের কাছে পেতে বিভিন্ন ঘোষণাও করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা করে গিয়েছেন শান্তিপুরে। এবারের রাজ্য বাজেটে তাঁতশিল্পীদের জন্য একাধিক ঘোষণা রয়েছে। ঋণের সুবিধা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধার কথা বলা হয়েছে সেখানে। বাজেটের পর থেকেই তা নিয়ে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূলের তাঁত শ্রমিকদের সংগঠন। এর পাশাপাশি তাঁত সমবায় নিয়েও প্রচার চলছে। রাজ্য সরকার তাঁত সমবায়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে। তৃণমূলের সংগঠনের তরফেও বিভিন্ন জায়গায় মহাজন-বিহীন তাঁতিদের নিয়ে সমবায় গড়ে তোলার প্রচার চালানো হচ্ছে। তাঁত সমবায় গড়ে তোলা হলে তাঁতিদের কী কী সুবিধা হবে এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকেই বা কী সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে নিরন্তর প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি, নিজেদের সংগঠনকে একেবারে নিচু তলা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে বিপন্ন তাঁতশিল্পকে তুলে ধরার চেষ্টায় খামতি রাখছে না কোনও দলই।