Lok Sabha Election 2024

ন’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের কাজে, বাকি এক কোম্পানিকে দিয়েই রুট মার্চ শহরে

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, মার্চ মাসের গোড়ায় দুই দফায় কলকাতায় এসে গিয়েছিল দশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা পুলিশের দশটি ডিভিশনে একটি করে কোম্পানি রুট মার্চ করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১২
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ভোট ঘোষণার অনেক আগেই নিরাপত্তার খাতিরে শহরে চলে এসেছিল দশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু প্রথম দফার ভোটের আগে সেই শহরে রয়েছে মাত্র এক কোম্পানি। বাকি নয় কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তুলে পাঠানো হয়েছে প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ভোটের কাজে। ওই বাহিনী শহরে ফেরত আসবে কি না, তা ঠিক না থাকলেও লালবাজার সূত্রের খবর, শহরে রয়ে যাওয়া এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়েই গোটা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করানো হচ্ছে। তবে এতে মানুষের মনে আস্থা বৃদ্ধির যে কৌশল নির্বাচন কমিশন নিয়েছিল, তা ধাক্কা খাচ্ছে কি না— তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, মার্চ মাসের গোড়ায় দুই দফায় কলকাতায় এসে গিয়েছিল দশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা পুলিশের দশটি ডিভিশনে একটি করে কোম্পানি রুট মার্চ করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। সেই মতো প্রায় দেড় মাস ধরে সকাল-বিকেল শহরের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের আস্থা বৃদ্ধির জন্য টহল দিচ্ছিল ওই বাহিনী। কিন্তু গত সপ্তাহের শেষ দিকে নয় কোম্পানি বাহিনীকে তুলে নেওয়া হয় প্রথম দফা ভোটের জন্য। যার ফলে কলকাতা পুলিশের হাতে রয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র বন্দর ডিভিশনের এক কোম্পানি বাহিনী। এক পুলিশকর্তা জানান, থেকে যাওয়া কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ন’টি সেকশনে ভাগ করে প্রতিটি ডিভিশনে রুট মার্চের জন্য পাঠানো হচ্ছে। গার্ডেনরিচ এলাকায় থাকা ওই বাহিনীর সদস্যেরা ভাঙড়, কেএলসি থেকে শুরু করে যাদবপুর, ধর্মতলা বা ঠাকুরপুকুরে টহল দিচ্ছেন। তবে কোনও পুলিশকর্তা স্বীকার না করলেও নিচু তলার পুলিশকর্মীরা জানিয়েছেন, যে ভাবে প্রথম দিকে ওই কাজ হচ্ছিল, তা এখন কিছুটা হলেও ধাক্কা খাচ্ছে। প্রতি দিন প্রতিটি থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে টহল দেওয়ানো সম্ভব হচ্ছে না।

সূত্রের খবর, প্রথম দিকে শেষ দু’টি নির্বাচনের সময়ে যেখানে যেখানে গোলমাল হয়েছিল অথবা ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছিল, সেই সব জায়গায় রুট মার্চ করছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। পরে নির্দিষ্ট কোনও এলাকায় আটকে না থেকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আস্থা বৃদ্ধির কাজ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের দাবি, ওই জওয়ানদের ওই রুট মার্চের ছবি এবং ভিডিয়ো তুলে তা নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট আকারে পাঠানোও হয়েছে পুলিশের তরফে।

Advertisement

তবে লালবাজার সূত্রের খবর, ভোটকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত ভাবে এক-দু’টি জায়গায় গোলমাল হয়েছে এখনও পর্যন্ত। যা পুলিশ সামলে দিয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুপস্থিতিতে যে কোনও পরিস্থিতি কলকাতা পুলিশ সামলাতে প্রস্তুত বলেই দাবি লালবাজারের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement