Lok Sabha Election 2024

কী করে ফোনে-ফোনে জোট হল কংগ্রেসের সঙ্গে? নওশাদ নিয়ে এখনও আশা আছে? অকপট সিপিএমের সেলিম

আনন্দবাজার অনলাইনের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘দিল্লিবাড়ির লড়াই: মুখোমুখি’-তে হাসতে হাসতেই এই সব প্রশ্নের জবাব দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১০:০২
Share:

বাঁ দিক থেকে, অধীর চৌধুরি, মহম্মদ সেলিম এবং নওশাদ সিদ্দিকি। —ফাইল ছবি।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে একাধিক বৈঠকের পরেও বাম-কংগ্রেসের জোট ভেস্তে গিয়েছিল। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বাংলায় বাম-কংগ্রেসের বোঝাপড়া অনেকটাই মসৃণ ভাবে এগিয়েছে। অন্তত এখনও পর্যন্ত তা-ই দেখা যাচ্ছে। ফোনে-ফোনে জোট হল কী ভাবে? আনন্দবাজার অনলাইনের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘দিল্লিবাড়ির লড়াই: মুখোমুখি’-তে হাসতে হাসতেই জবাব দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী সেলিম বলেন, ‘‘এখনকার সময়ে মুখোমুখি বৈঠকের দরকার পড়ে না। আমরা সংবাদমাধ্যমকে আর বিরোধীদের চমক দিতে চেয়েছিলাম। সেটাই করেছি।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি লড়ছেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে। পাশের মুর্শিদাবাদ আসনেই লড়ছেন সেলিম। লড়াইয়ের বার্তা দিতেই কি পাশাপাশি দুই আসনে দু’জনে প্রার্থী? সেলিমের জবাব, ‘‘আমরা অধীর-সেলিম জুটি হিসাবে কাজ করতে চেয়েছি। এটাকে জোট না বলে আমি জুটিই বলতে চাই।’’

কংগ্রেসের সঙ্গে সব জট অবশ্য এখনও কাটেনি। ‘কাঁটা’ রয়েছে ফ্রন্ট শরিকদের মধ্যেও। পুরুলিয়া আসন ফরওয়ার্ড ব্লক ছাড়বে কি না, তা নিয়ে টানাপড়েন অব্যাহত। এই প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘কাঁটা আছে বলেই তো বাঙালি মাছ খেতে ভালবাসে। গুজরাতিরা মাছ খায় না। কাঁটা বাছাটাই আমাদের কাজ।’’

Advertisement

২০২১ সালের ভোটের ঠিক আগে তৈরি হওয়া আইএসএফকে বাম-কংগ্রেসের জোটে শামিল করেছিল সিপিএম। আব্বাস সিদ্দিকি, নওশাদ সিদ্দিকির দলের সঙ্গে সমন্বয় রাখতেন সেলিমই। সেই নওশাদ এখন বিধায়ক। কিন্তু লোকসভার আগে তাঁকে নিয়েও জট রয়েছে। নওশাদ কি হাত ফস্কে বেরিয়ে গেলেন সেলিমের? শেষপর্যন্ত নওশাদকে জোটে না-পাওয়া গেলে সেটা কি তাঁরও রাজনৈতিক ব্যর্থতা নয়? সাক্ষাৎকারে সেলিম মানতে চাননি যে, এখনও সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছে। তাঁর যুক্তি, ‘‘আইএসএফ এই প্রথম লোকসভা ভোটে লড়ছে। ফলে তাঁদের কাছে সবটা নতুন।’’ সেলিম এখনও আশাবাদী যে, নওশাদেরা বিজেপি এবং তৃণমূল-বিরোধী জোটে শামিল হবেন।

সেলিমের বক্তব্য, কে কাকে কত আসন ছাড়বে, তা নিয়ে বিবিধ আলোচনা চলছে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক এ-ও জানিয়েছেন, সাত দফায় ৪৬ দিন ধরে ভোটের নির্ঘণ্ট আলোচনার বাড়তি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। সেলিমের দাবি, কেন্দ্রের বিভিন্ন সংস্থা এবং বিভিন্ন সংগঠন চাইছে না, বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ এক জায়গায় আসুক। তাঁর কথায়, ‘‘সেটা হলে বিজেপির ক্ষতি হবে। সে কারণেই নানা ভাবে কান ভাঙানো চলছে।’’ সেলিম আরও বলেন, ‘‘আমরা এখন সেলাই করার কাজ করছি। তার অনেকগুলো স্তর রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement