বুধবার লালবাগে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের জোটের প্রার্থী সেলিমের সমর্থনে সিপিএম ও কংগ্রেসের ভোটের প্রচার। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
চাঁদি ফাটা রোদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। আর সেই সঙ্গে শাসক দলকে পিছনে ফেলে বাড়ছে বাম-কংগ্রেস জোটের শক্তি বলে দাবি উঠেছে। সময় যত গড়াচ্ছে বাম কংগ্রেস ততটাই কাছাকাছি আসছে। মঙ্গলবার বিকেলে জলঙ্গির ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। আর সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘আমি কেবল সিপিএমের প্রার্থী নই। আমি বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থী।’’ বুধবার দিনভর মহম্মদ সেলিমের একাধিক কর্মসূচি ছিল লালবাগ মহকুমা এলাকায়। প্রথমে ভগবানগোলা এলাকায় ছিল জনসংযোগ, তারপরে মুর্শিদাবাদ বিধানসভা ভিত্তিক কর্মিসভা এবং সন্ধ্যায় ছিল লালবাগ শহরের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই বাম এবং কংগ্রেস কর্মীদের অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে বলে দাবি করেছেন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান।
সেলিম যেমন কংগ্রেসের দফতরে যাচ্ছেন, তেমন অনেক কংগ্রেসকর্মীরাও তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে ভিড় জমান সেখানে। অনেককে দেখা যায় সেলিমের সঙ্গে সেলফি নিতে। কংগ্রেসের দাবি, সাধারণ কর্মীদের আবেগ উচ্ছ্বাস দেখেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে জোট কতটা মজবুত হয়েছে এ বার। দলীয় কার্যালয়ে সাক্ষাৎকারের পর সন্ধ্যায় জলঙ্গি বাজারে জনসংযোগে মাঠে নামেন সেলিম। তার সঙ্গে সিপিএম নেতৃত্বের পাশাপাশি ছিল ব্লক কংগ্রেসের নেতৃত্বও। সেখানেও উৎসাহী জনতার ভিড় দেখা যায় সেলিমকে লক্ষ্য করে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলছেন, ‘‘প্রার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের যে আবেগ ভালবাসা দেখতে পাচ্ছি, তাতেই আমরা ভোটের আগে অনেকটা পথ জিতে গিয়েছি।’’ জলঙ্গির ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলছেন, ‘‘কংগ্রেস কর্মীদের দাবি মহম্মদ সেলিমের মতো প্রার্থীকে আমরা পেয়েছি এটা আমাদের সৌভাগ্যর।’’
তৃণমূলের যদিও দাবি, এই আবেগ উচ্ছ্বাস যতই এখন দেখা যাক, ভোটের বাক্সে তার প্রতিফলন হবে না। জিতবে তৃণমূলই।