উল্লাশ আশাকর্মীদের। বুধবার কোদালিয়া পঞ্চায়েত এলাকায়। নিজস্ব চিত্র।
১০০ দিনের বকেয়া মেটানোর পর লোকসভা ভোটের মুখে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার এই খবর শোনার পরই চুঁচুড়া-মগরা ব্লকের কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের সামনে সবুজ আবির খেললেনআশাকর্মীরা।
বাইরে বেরিয়ে আসেন তৃণমূল পরিচালিত এই পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান দেবাশিস চক্রবর্তীও। যান এলাকার বিধায়ক অসিত মজুমদারও। আশাকর্মীরা জানান, ৭৫০ টাকা বেড়ে মাসিক ভাতার পরিমাণ হল ৫ হাজার ২৫০ টাকা। তাঁদের আন্দোলনেকিছুটা হলেও সাড়া মিলেছে।তাই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদজানান। ভাতা আরও বাড়ানোর দাবি থাকলেও এ দিন থেকে তাঁরা কাজে যোগ দেন।
তবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা (আইসিডিএস) কিন্তু বর্ধিত ভাতার পরিমাণে খুশি নন। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কর্মীরা জানান, ৭৫০ টাকা ভাতা বাড়ায় তাঁরা এ বার থেকে মাসে পাবেন ৯ হাজার টাকা। তাঁদের দাবি, কাজের তুলনায় এই টাকার পরিমাণ অনেক কম। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকাদের ভাতা ৫০০ টাকা বেড়ে হল ৬ হাজার ৮০০ টাকা।
এই দুই ক্ষেত্রেই বহু বছর ধরে টাকা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছিলেন কর্মীরা। সম্প্রতি আশাকর্মীরা ধর্মঘটও শুরু করেছিলেন। তার জেরে গত রবিবার পোলিয়ো কর্মসূচিতে বিকল্প কর্মীদের নামাতে হয়েছিল পঞ্চায়েতগুলিকে।
মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের ঘোষণার পিছনে ভোটের রাজনীতি দেখছে বিজেপি। ওই পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বিজেপি নেতা স্বপন পালের অভিযোগ, ‘‘টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইছে তৃণমূল। এতে কোনও লাভ হবে না। এই ঘোষণার জন্য এত অপেক্ষা করতে হল কেন? মানুষ পদ্মেইছাপ দেবেন।’’
বিজেপির দাবি উড়িয়ে অসিত বলেন, ‘‘রাজ্যের ভাঁড়ারে অভাব রয়েছে। তারপরও মুখ্যমন্ত্রী আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য ভেবেছেন। আগামী দিনে তিনি আরওসাহায্য করবেন।’’