নরেন্দ্র মোদি এবং যোগী আদিত্যনাথ। —ফাইল চিত্র।
বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। আর সে কারণে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের নেতারা উড়ে আসছেন। সেই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিংহ, অমিতাভ চক্রবর্তী রয়েছে। বহরমপুর লোকসভার বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় তাঁদের দিয়ে নির্বাচনী প্রচারসভা করবে বিজেপি।
বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘এ বারে বহরমপুর লোকসভা আমরা দখল করব। সেই লক্ষ্যে আমরা নানা কর্মসূচি নিয়েছি। এ বারে নির্বাচনী প্রচার সভায় দলের জাতীয় স্তরের এবং রাজ্য স্তরের নেতারা বহরমপুরে কর্মসূচি করবেন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, মিঠুন চক্রবর্তী, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বহরমপুর লোকসভায় প্রচারে আসছেন। তাঁদের দিয়ে এই লোকসভার বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় প্রচার সভা করানো হবে।’’ বিজেপি সূত্রের খবর, আজ কান্দিতে প্রচার সভায় আসছেন মিঠুন চক্রবর্তী এবং বহরমপুরের রাঙামাটি চাঁদপাড়ায় সভা করতে আসছেন রাহুল সিংহ, ২৭ এপ্রিল বহরমপুরে সাংগঠনিক বৈঠক করতে আসছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। ২৮ এপ্রিল বড়ঞায় প্রচার সভায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, ৩০ এপ্রিল শক্তিপুরে জনসভা করতে আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ১ মে নওদায় নির্বাচনী প্রচারে আসছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ৪ মে বহরমপুর নির্বাচনী জনসভা করতে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
যা শুনে বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘ওরা ভোট পাখি। ভোট এলেই দিল্লি থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসেন। তার পরে ভোটে হেরে আর বাংলামুখী হন না। এ বারেও আসতে শুরু করেছেন। ভোটের হারার পরে বিজেপির দিল্লির নেতারা বাংলামুখী হবেন না।’’ প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা বহরমপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এর আগেও দেখেছি এসব রথী মহারথীদের প্রচারসভায় এনে বহরমপুরে কিছুই করতে পারে না। অধীর চৌধুরী, ছিলেন, আছেন, থাকবেন। ফের অধীর চৌধুরী জয়ী হয়ে ডবল হ্যাটট্রিক করবেন।’’
বহরমপুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড় বলে পরিচিত। পাঁচবার এই কেন্দ্র থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েও নিজের গড় রক্ষা করতে পেরেছিলেন অধীর। অন্যদিকে এবারে স্থানীয় জনপ্রিয় চিকিৎসক নির্মল সাহাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।