Lok Sabha Election 2024

নাগরিকত্ব আইনে বিরক্ত, মনোনয়ন জমা দিলেন ‘নির্দল’ মতুয়া

কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তেহট্ট বিধানসভা আসনে মতুয়াদের একটা বড় অংশের বাস। সঞ্জিতের বাড়িও বিজেপির নিয়ন্ত্রণে থাকা ছিটকা পঞ্চায়েতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৫৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে নিঃশর্ত নাগরিকত্বের ব্যবস্থা না থাকায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধ ঘোষণা করেছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের এক গ্রামীণ চিকিৎসক। তাঁর নাম সঞ্জিত বিশ্বাস। তেহট্টের হরিপুর এলাকার মোবারকপুরের বাসিন্দা তিনি। বুধবার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

Advertisement

সঞ্জিতের দাবি, তিনি ‘হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ফাউন্ডেশন’-এর হয়ে ভোটে লড়াই করতে নেমেছেন। এ দিন মনোনয়ন পেশের সময়ে শ’পাঁচেক মানুষ তাঁর সঙ্গে ছিল। তবে তিনি ভোটে আদৌ কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বরং তিনি ভোট লড়তে নামায় এ ক্ষেত্রে ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’ দেখছে কোনও কোনও মহল।

কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তেহট্ট বিধানসভা আসনে মতুয়াদের একটা বড় অংশের বাস। সঞ্জিতের বাড়িও বিজেপির নিয়ন্ত্রণে থাকা ছিটকা পঞ্চায়েতে। এ দিন তিনি দাবি করেন, “কেন্দ্রীয় সরকার মতুয়া সমাজকে নিয়ে রাজনীতি করছে। আমাদের দাবি ছিল নিঃশর্ত নাগরিকত্বের। তার বদলে আইনে বেশ কিছু শর্ত চাপানো হয়েছে। সেই কারণেই এখনও পর্যন্ত কোনও মতুয়া নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি। এই সস্তা রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই আমার লড়াই।”

Advertisement

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, গত দু’তিনটি নির্বাচনে সেই মতুয়া ভোটের বেশির ভাগটা বিজেপির ঝুলিতে গিয়ে পড়েছে। সে ক্ষেত্রে সঞ্জিত যদি মতুয়াদের ভোটে ভাগ বসান তাতে বিজেপিরই বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিজেপি-ঘেঁষা মতুয়া মহাসঙ্ঘের রাজ্য কমিটির সদস্য অনিমেষ বালা বলেন, “আমার ধারণা, উনি কোনও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের সঙ্গে ওঁর কোনও দিনই কোনও সম্পর্ক ছিল না।“

বিজেপির উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, “উনি তৃণমূলের সুবিধার জন্য ভোটে দাঁড়িয়েছেন কি না, সেটা দেখতে হবে। তবে মতুয়াদের দাবি মেনেই সিএএ বলবৎ হয়েছে। তাই মতুয়া ভোট আমাদের সঙ্গেই থাকবে।“

আর, তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার দাবি, “মতুয়াদের জন্য আমাদের সরকার যা করেছে তাতে মতুয়া সমাজ আমাদের পাশে ছিল, আছে, থাকবে।“

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement