ভোটের লাইনে মহিলা ভোটদাতারা। ছবি: সংগৃহীত।
রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৬৭.২৫ শতাংশ বলে জানাল নির্বাচন কমিশন। চতুর্থ দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে ৭৮.৩৭ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে জম্মু এবং কাশ্মীরে। সেখানে ভোট পড়েছে ৩৭.৯৮ শতাংশ। এ ছাড়াও, অন্ধ্রপ্রদেশে ৭৬.৫০ শতাংশ, ওড়িশায় ৭৩.৯৭ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৭০.৯৮ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ৬৫.২ শতাংশ, তেলঙ্গানায় ৬৪.৭৪ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৯.৬৪ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫৮.০৫ শতাংশ, বিহারে ৫৭.০৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
সারা দেশে ভোট পড়ল ৬২.৮৪ শতাংশ। রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটদানের হার জানাল নির্বাচন কমিশন। ২৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে চতুর্থ দফায় অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে শ্রীনগরে। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী রাত ৮টা পর্যন্ত শ্রীনগরে ভোট পড়েছে ৩৬.৫৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে এই আসনে ভোট পড়েছিল ১৪.৪৩ শতাংশ। ২০১৪ সালে ২৫.৮ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে ২৫.৬ শতাংশ ভোট পড়েছিল এই আসনে।
চতুর্থ দফার লোকসভা ভোটে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে (৭৬.৬৬ শতাংশ)। ভোটদানের হারে দ্বিতীয় স্থানে অন্ধ্রপ্রদেশ (৬৮.০৪ শতাংশ)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (৬৮.০১ শতাংশ)। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে জম্মু-কাশ্মীরে (৩৫.৭৫ শতাংশ)।
চতুর্থ দফায় সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বাংলায়। নির্বাচন কমিশন সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত যে তথ্য দিয়েছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গে ভোটদানের হার ৭৬.৬৬ শতাংশ।
লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফায় সারা দেশে ভোট পড়ল ৬২.৩১ শতাংশ। মোট ৯৬টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে তথ্য দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল ৬২.৩১ শতাংশ।
দুপুর ৩টে অবধি দেশের ৯৬টি কেন্দ্রে সামগ্রিক ভোটদানের হার ৫২.৬ শতাংশ।
তিনি ‘ভিআইপি’। তাই লাইনে না দাঁড়িয়েই ভোট দেবেন! এক ভোটার সেই আবদার না মানায় কষিয়ে থাপ্পড় মারলেন অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার তেনালি কেন্দ্রের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের বিদায়ী বিধায়ক তথা এ বার ওই কেন্দ্রে বিধানসভা ভোটের প্রার্থী এ শিবকুমার। চড় খাওয়ার পর বিধায়ককেও পাল্টা চড় মারেন এক ওই ভোটার। তখন এলোপাথাড়ি ওই ভোটারকে কিল-চড় মারতে থাকেন বিধায়কের সহকারীরা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের ৯৬টি লোকসভা কেন্দ্রে দুপুর ১টা পর্যন্ত সামগ্রিক ভোটদানের হার ৪০.৩ শতাংশ।
তেলঙ্গানার সিদ্দিপেটে চিন্তামেডকের একটি বুথে ভোট দিলেন তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও, যিনি কেসিআর নামেই সমধিক পরিচিত।
ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা খারসওয়ান জেলার জিলিনগোরার একটি বুথে ভোট দিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা চম্পই সোরেন।
তেলঙ্গানার মেহবুবনগর কেন্দ্রের কোদাঙ্গলের একটি বুথে ভোট দিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা রেভন্ত রেড্ডি।
অন্ধ্রের কাডাপা কেন্দ্রের একটি বুথে ভোট দিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির বোন তথা কংগ্রেস প্রার্থী ওয়াইএস শর্মিলা। ভোট দিয়ে তাঁর দাবি, জগনের দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারিয়ে তিনিই জিতবেন। অন্ধ্রে কংগ্রেসও ভাল ফল করবে বলে দাবি করেন শর্মিলা।
সকাল ১১টা পর্যন্ত দেশের ৯৬টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটদানের সামগ্রিক হার প্রায় ২৫ শতাংশ (২৪.৯ শতাংশ)।
ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-র কর্মীদের দু’দিন ধরে আটকে রাখার অভিযোগ তুললেন দলের প্রধান তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা।
চতুর্থ দফায় দেশের যে ৯৬টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে ধনী প্রার্থী রয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের টিডিপি প্রার্থী চন্দ্রশেখর পেম্মাসনির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫,৭০৫ কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অন্ধ্রেরই চেভেল্লা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কোন্ডা বিশ্বেশ্বর রেড্ডি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪,৫৬৮ কোটি টাকা। সম্পত্তির নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের নেল্লোর কেন্দ্রের টিডিপি প্রার্থী প্রভাকর রেড্ডি ভেমিরেড্ডি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৭১৬ কোটি।
এই ৯৬ কেন্দ্রের দরিদ্রতম প্রার্থী হলেন অন্ধ্রের বাপাতলা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী কাট্টা আনন্দ বাবু। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর হাতে রয়েছে মাত্র ৭ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের মাভাল কেন্দ্রের ভীমসেনা প্রার্থী সন্তোষ উবালে। তাঁর হাতে রয়েছে মাত্র ৮৩ টাকা। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মহারাষ্ট্রেরই শিরুর কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী। তাঁর হাতে রয়েছে মাত্র ৯০ টাকা।
মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে সকাল সকাল ভোটের লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের হাতে বিনামূল্যে খাবার তুলে দিল শহরের নামী একটি হোটেল।
সকাল ৯টা পর্যন্ত বাংলার আট-সহ দেশের ৯৬টি লোকসভা কেন্দ্রে সামগ্রিক ভাবে ১০.৪ শতাংশ ভোট পড়ল। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এই তথ্য জানা গিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের ইনদওর কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু পরে সেই প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে শিক্ষা দিতে ‘নোটা’য় ভোট দিতে বললেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি জিতু পাটোয়ারি।
শ্রীনগরের একটি বুথে ভোট দিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা এবং সহ-সভাপতি ওমর আবদুল্লা।
শ্রীনগরে সৈয়দ রুহুল্লাহ্ মেহদিকে প্রার্থী করেছে ফারুকের দল। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় থাকলেও আলাদা প্রার্থী দিয়েছে মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি। তারা প্রার্থী করেছে ওয়াহিদ-উর-রহমান পারাকে। আর জম্মু ও কাশ্মীর আপনি পার্টি প্রার্থী করেছে মহম্মদ আশরাফ মিরকে। ফারুক, মেহবুবাদের অভিযোগ, উপত্যকার তিন আসনে বিজেপি প্রার্থী না দিলেও আপনি পার্টির প্রার্থী বকলমে পদ্মশিবিরের হয়েই ভোটে লড়ছেন।
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পর আর ভোট হয়নি ভূস্বর্গে। চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে কাশ্মীর উপত্যকার শ্রীনগর আসনে। শ্রীনগরের গান্ডেরবাল এলাকার একাধিক বুথে সকাল থেকেই ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যায়। ভোট নিয়ে স্থানীয়দের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।