নীতীশ কুমার। —ফাইল চিত্র
বিহারের ১৬টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ-র শরিক হিসাবে ১৭টি আসনে লড়েছিল তারা। এ বার জেডিইউকে ১৬টি আসন ছেড়েছে বিজেপি। দু’টি কেন্দ্রে বিদায়ী সাংসদদের টিকিট দেওয়া হয়নি। তবে দল বদলে জেডিইউ-তে যোগ দেওয়া দু’জন এ বার প্রার্থী হয়েছেন।
রবিবার পটনায় সাংবাদিক বৈঠক করে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন জেডিইউ-র জাতীয় সহ-সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহ। সীতামঢ়ী আসনে দলের বিদায়ী সাংসদকে টিকিট দেয়নি নীতীশের দল। এ বার ওই কেন্দ্রে বিহারের বিধান পরিষদের চেয়ারম্যান দেবেশচন্দ্র ঠাকুরকে প্রার্থী করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিজয়লক্ষ্মী কুশওয়াহাকে প্রার্থী করা হচ্ছে সিওয়ান কেন্দ্র থেকে। এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে দলের বিদায়ী সাংসদের নাম বাদ গিয়েছে। লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি ছেড়ে জেডিইউ-তে যোগ দেওয়া লাভলি আনন্দ দাঁড়াচ্ছেন শিওহর কেন্দ্র থেকে।
প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছেন জেডিইউ-র বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহ। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
লোকসভা ভোটে বিহারে ইতিমধ্যেই নীতীশের জেডিইউ-সহ চার সহযোগী দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিজেপি। রফা সূত্র অনুযায়ী, সে রাজ্যের ৪০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৭ এবং জেডিইউ ১৬টিতে প্রার্থী দেবে। প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (আর) লড়বে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে। একটি করে আসন পাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝিঁর হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (হাম) এবং নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য উপেন্দ্র কুশওয়াহার দল রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম)।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ১৭টি আসনে লড়েছিল বিজেপি। ১৭টিতে লড়েছিল নীতীশের দল। আর বাকি ছয় আসনে প্রার্থী দিয়েছিল রামবিলাসের দল এলজেপি। বিজেপি ১৭ এবং এলজেপি ছ’টি আসনে জিতলেও কিসানগঞ্জে জেডিইউ-কে হারিয়ে জিতেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। এর পরে ২০২২-এ নীতীশ এনডিএ ছেড়ে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধনে যোগ দিলেও গত জানুয়ারিতে আবার বিজেপির সহযোগী হয়েছেন।