প্রচারে বেরিয়ে মোমো বানালেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রচারে বেরিয়ে মোমো বানালেন যাদবপুরের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ। যুব তৃণমূলের সভাপতি সায়নীর সঙ্গে নিজস্বী তোলার হিড়িক পড়ে গেল বারুইপুরে। একটি দোকানে ঢুকে মোমো বানাতে বানাতে জনসংযোগ সেরে সায়নী সিএএ নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার অন্তর্গত বারুইপুর টাউন তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে যান সায়নী। বারুইপুর পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলর, বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার সকল পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতিদের সঙ্গে সায়নীর পরিচয় করিয়ে দেন স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী পরিচিতির পর সেখানে একটি সাংগঠনিক বৈঠক করেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী। তার পর বারুইপুর কাছারি বাজার থেকে পদ্মপুকুর মোড় পর্যন্ত একটি র্যালি করেন তিনি। সায়নীর সঙ্গে ছিলেন বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক বিমান, বারুইপুর পুরসভার উপপৌরপ্রধান গৌতম দাসেরা। দেওয়াল লিখনেও হাত লাগান সায়নী। সেখান থেকে বারুইপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত আহারে বাংলা রেস্তরাঁয় চলে যান তিনি। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে মোমো তৈরিতে হাত লাগান লোকসভার প্রার্থী। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাজে উৎসাহ দিয়ে ভোটপ্রচার করেন। সায়নীর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ৩৬৫ দিন মানুষের জন্য কাজ করে। তাই আলাদা করে যে আমাদের প্রচার করতে হবে এমন নয়। তবে সবার সঙ্গে আলাপ করার প্রয়োজন ছিল।’’ পাশাপাশি সিএএ চালু নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘সিএএ নিয়ে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে ভোট পেতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু বাংলার দিদি কারও অধিকার হরণ করতে দেবেন না।’’
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে সায়নীকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন ওই অভিনেত্রী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অল্প ভোটের ব্যবধানে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজিত হন তিনি। অন্য দিকে, যাদবপুর কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে এ বার আর প্রার্থী করেনি তৃণমূল।