দুধকুমার মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ নীরবতার পরে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে সদ্য প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক দেবাশিস ধরকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। তাতেও দলের কোন্দল থামছে না।
সেই কোন্দল ফের সামনে এসেছে বীরভূমের আদি বাসিন্দা, অধুুনা ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতা শিবলাল ঘোষের একটি ভিডিয়ো বার্তায়। আনন্দবাজার ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। তবে, ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দলের প্রবীণ নেতা, প্রাক্তন জেলা সভাপতি এবং একাধিক বার লোকসভা ও বিধানসভায় দলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দুধকুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শিবলাল। শিবলালকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘দিন কয়েক আগে আমি একটি অডিয়ো বার্তায় বলছিলাম, দুধকুমার মণ্ডলের মতো সুবিধাবাদী, ধান্দাবাজকে প্রার্থী না-করতে। ঘটনাচক্রে তিনি প্রার্থী হননি। কিন্তু, তিনি সংবাদমাধ্যমে অনেক অপ্রয়োজনীয় কথা বলেছেন। দলের জেলা নেতা ধ্রুব সাহা, অর্জুন সাহা, বাবন দাসদের কাছে অনুরোধ, তাঁকে যেন নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে না-দেওয়া হয়।’’ পাল্টা শিবকুমারকে ‘ভাড়াটিয়া সৈনিক’ বলে কটাক্ষ করেছেন দুধকুমার।
আদতে সিউড়ির বাসিন্দা তথা ঝাড়খণ্ড বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য শিবলালের কথাকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই বলেই জানাচ্ছেন জেলা বিজেপির একাধিক নেতা। তবে, ভোটের সময় এই ঘটনা দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতাদের মোবাইলে মোবাইলে শিবলালের ভিডিয়ো বার্তা ছড়িয়েছে। শিবলাল বলেন, ‘‘যা বলেছি,অত্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে বলেছি।’’
দুধকুমার ২০১৯-এ বীরভূম কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। শতাব্দী রায়ের সঙ্গে তাঁর কড়া টক্কর হয়। প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের নাম উঠে আসার আগে পর্যন্ত তিনিই এ বারেও বীরভূমে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে ‘চক্রান্ত’ করে প্রার্থী করা হয়নি বলে অভিযোগ অনুগামীদের।
শিবলালের ভিডিয়ো প্রসঙ্গে দুধকুমার বলছেন, ‘‘শিবলাল ভাড়াটিয়া সৈনিক। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত কাজে এসেছে।ওরা সর্বোত ভাবে আমার টিকিট পাওয়া আটকাতে চেয়েছিল। কারণ, আমি প্রার্থী হলে শিবলাল-সহ অনেকের ক্ষতি হত। তাই এ কথা বলছেন।’’
একই সঙ্গে দলের ক্ষমতাসীন নেতৃত্বকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি দুধকুমার। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যাঁরা
সফল হয়েছেন চক্রান্তে, এখন তাঁদের কাজ বীরভূমে বিজেপি প্রার্থীকে জিতিয়ে দেখানো। বীরভূমে কেষ্ট মণ্ডল নেই, এত বড় সুযোগ। আমি দলের সঙ্গেই আছি। কিন্তু, হারা জেতার দায় বা কৃতিত্ব সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সহ জেলা কমিটিকেই নিতে হবে!’’