বাঁশবেড়িয়ায় বৈদ্যনাথ সাহার বাড়িতে আয়কর হানা। —নিজস্ব চিত্র।
হুগলিতে ‘তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ীদের বাড়িতে আয়কর হানা। একযোগে একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালালেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা। শাসকদলের দাবি, ব্যবসায়ীদের বাড়িতে আয়কর হানার নেপথ্যে রয়েছেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেটেরও বক্তব্য, দুর্নীতি করলে কেউ ছাড় পাবে না।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে মগড়া ও বাঁশবেড়িয়ার ‘তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী কমল দাস, বৈদ্যনাথ সাহা (বৈদ্য), সত্যরঞ্জন শীল (সোনা), দিলপ্রীত সিংহ, অভিজিৎ ঘটক (টিঙ্কু)-সহ একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসের ঠিকানায় হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। সঙ্গে রয়েছেন সিআরপিএফের জওয়ানেরাও। ঘটনাচক্রে, গত ৩ এপ্রিল এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছিলেন লকেট। তাঁর দাবি ছিল, ওই ব্যবসায়ীরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। দুর্নীতির টাকা তাঁরা তৃণমূলকে দেন। তার পরেই এই আয়কর হানা।
ব্যবসায়ীদের বাড়িতে আয়কর তল্লাশি নিয়ে হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, ‘‘ব্যবসা করা কি অপরাধ? না কি তৃণমূল- ঘনিষ্ঠ হওয়া অপরাধ? লকেট চট্টোপাধ্যায় আগে থেকেই বলে রাখছেন, কোথায় ইডি যাবে, কোথায় সিবিআই যাবে আর কোথায় আয়কর দফতর যাবে। তার মানে এজেন্সিগুলো বিজেপি হয়ে গিয়েছে। আর যদি ব্যবসায়ীদের কথা বলি, তা হলে ইলেক্টোরাল বন্ডটা কী! বিজেপি কত টাকা নিয়েছে ব্যবসায়ীদের থেকে?’’
পাল্টা লকেট বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে সিন্ডিকেট, তোলাবাজি চলছে। যারা এ সব করছে, তাদের ছাড়া হবে না। নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, না নিজে খাব, না কাউকে খেতে দেব। আমরা তো তাঁর সৈনিক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। দুর্নীতি, গুন্ডাগিরি, মাফিয়ারাজ চলছে রাজ্যে। এর শেষ দেখতে চাই। দুর্নীতি করলে কেউ ছাড় পাবে না।’’