—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ছয় কোটি টাকা। যদিও সেই রাজ্য থেকে লোকসভায় যাচ্ছেন মাত্র সাত জন মহিলা সাংসদ। উত্তরপ্রদেশে মোট আসন সংখ্যা ৮০। তাতে লড়াই করেছেন ৮৫১ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে ৭৭১ জন পুরুষ এবং ৮০ জন মহিলা।
উত্তরপ্রদেশে যে সাত জন মহিলা লোকসভা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র, এক জন বিজেপি এবং এক জন বিজেপির শরিকদল আপনা দল (সোনি লাল)-এর। মথুরা থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছেন হেমা মালিনী। মির্জাপুর থেকে জয়ী হয়েছেন আপনা দলের অনুপ্রিয়া পটেল। উত্তরপ্রদেশে ৮০টি আসনের মধ্যে ৭৯টিতে বিজেপি এবং তার শরিকদল রাষ্ট্রীয় লোকদল প্রথমে মাত্র ছ’জন মহিলাকে টিকিট দিয়েছিল। একটি বরাদ্দ ছিল আর এক শরিকদলের নেত্রী অনুপ্রিয়ার জন্য। বরাবাঙ্কিতে প্রথমে বিজেপি টিকিট দিয়েছিল বিদায়ী সাংসদ উপেন্দ্র রাওয়াতকে। তাঁর একটি ‘অশ্লীল’ ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। এর পরেই বিজেপি ওই আসনে রাজরানী রাওয়াতকে প্রার্থী করেন। এর ফলে উত্তরপ্রদেশে এনডিএর মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা হয় আট।
উত্তরপ্রদেশে এসপি ৬৩টি লোকসভা আসনে লড়েছে। সহযোগী ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারা ১২ জন মহিলাকে টিকিট দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে জয়ী পাঁচ জন। এসপির টিকিটে জিতেছেন ডিম্বল যাদব, ইকরা চৌধরি, প্রিয়া সরোজ, রুচি ভিরা, কৃষ্ণা দেবী। তিন বারের সাংসদ তুফানি সরোজের মেয়ে হলেন প্রিয়া। তিনি মছলিশহর আসনে ৩৫,৮৫০ ভোটে জয়ী হয়েছেন। বিজেপির বিদায়ী সাংসদ ভোলানাথকে হারিয়েছেন প্রিয়া। ২৯ বছরের ইকরা কৈরানা আসনে ৬৯ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন। রাজ্যসভার সাংসদ চৌধরি মুনাওয়ার হাসান এবং লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ বেগম তবস্সুম হাসানের মেয়ে তিনি। কংগ্রেস এক জন মহিলাকে টিকিট দিয়েছেন। গাজ়িয়াবাদ থেকে প্রার্থী করেছে ডলি শর্মাকে। অর্থাৎ বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ উত্তরপ্রদেশে ১৩ জন মহিলাকে প্রার্থী করেছে।
বিএসপি তিনজন মহিলাকে লোকসভা ভোটে টিকিট দিয়েছেন। যদিও কেউই জয়ী হননি।