(বাঁ দিকে)রাহুল গান্ধী এবং (ডান দিকে) অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
মেরুকরণের রাজনীতির পরে এ বার লোকসভা ভোটের প্রচারে বিজেপি নেতৃত্ব জাতীয়তাবাদী আবেগ উস্কে দিতে চাইছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। গত ২ মে গুজরাতে ভোট প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেসের শাহজ়াদাকে জেতাতে পাকিস্তান উতলা হয়ে পড়েছে।’’ বিজেপি মুখপাত্র শুধাংশু ত্রিবেদী চলতি সপ্তাহেই দাবি করেছেন, পাকিস্তান নাকি কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায়! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার দলীয় মুখপাত্রের পাক-মন্তব্যের ‘ব্যাখ্যা দিলেন’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান এখন রাহুলবাবার খুব প্রশংসা করছে। এক জন সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন এমনটা হচ্ছে। আমি তাঁকে বললাম, এমনটাই তো হওয়ার কথা। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হলে রাহুলবাবা প্রশ্ন তোলেন। নকশালকে নিহত হলে রাহুলবাবা বিরোধিতা করেন, ৩৭০ ধারা (জম্মু ও কাশ্মীরে) প্রত্যাহার করা হলে রাহুলবাবা প্রতিবাদ করেন, রামমন্দির উদ্বোধন করা হলে রাহুলবাবা বিরোধিতা করেন। রাহুলবাবা পাকিস্তানের অ্যাজেন্ডা সমর্থন করছেন, পাকিস্তানও তাঁকে সমর্থন করছে।’’
সম্প্রতি ইমরান খানের মন্ত্রিসভার সদস্য পাকিস্তানের প্রাক্তন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী চৌধরি ফওয়াদ হুসেন রাহুল গান্ধীর বক্তৃতার একটি অংশ পোস্ট করেন তাঁর সমাজমাধ্যমে। সেখানে শোনা যায়, রাহুল রামমন্দিরের প্রতিষ্ঠার জাঁকজমক এবং বিপুল খরচের বিরোধিতা করে বলছেন, বিজেপি সরকারের দেশের গরিব এবং যুবদের স্বার্থদের দিকে নজর নেই। পাক মন্ত্রীর এই পোস্টটি তুলে কংগ্রেসকে প্রথম আক্রমণ করেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়। তিনি লেখেন, ‘‘ফওয়াদ হুসেন এখন রাহুল গান্ধীর হয়ে প্রচার করছেন। কংগ্রেস কি পাকিস্তানেও ভোটে লড়তে চায়?’’