— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলেও ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় সাত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কলকাতায় চলে এসেছে। কলকাতা পুলিশের দশটি ডিভিশনে তাদের ভাগ করে শুরু হয়েছে রুট মার্চও। তবে সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে শুধু রুট মার্চ করালেই হবে না। প্রতিটি থানা এলাকার কোথায় কোথায় রুট মার্চ করানো হচ্ছে, কোথা থেকে শুরু হয়ে কোথায় তা শেষ হচ্ছে, সারা দিনে কত কিলোমিটার রুট মার্চ হল— এমন যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য প্রতিদিন নির্বাচন কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি থানাকে বলা হয়েছে, রোজ বিকেলে সেই রিপোর্ট কলকাতা পুলিশের ইলেকশন সেলে পাঠাতে। সেখান থেকে তা চলে যাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে।
এক পুলিশকর্তা জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী যে রুট মার্চ করেছে, তার ভিডিয়োগ্রাফি করে পাঠাতে বলা হয়েছে থানাগুলিকে। একই সঙ্গে, সংবেদনশীল বুথ এবং হিংসা বা অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে এমন অঞ্চলকে রুট মার্চের আওতায় রাখতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগে থেকেই বিগত দু’টি নির্বাচনের বিভিন্ন তথ্য লালবাজারের তরফে নির্বাচন কমিশনকে পাঠাতে হয়েছিল। যার মধ্যে সংবেদনশীল বুথের পাশাপাশি ছিল নির্বাচনে অশান্তি হয়েছে এমন এলাকার নামও। সূত্রের দাবি, এ বার সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে রুট মার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার কাজ করছে কি না, তা-ই খতিয়ে দেখা হবে।
এ দিকে, কলকাতার জন্য নির্দিষ্ট সাত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে রবিবার সকালে এসেছিল তিন কোম্পানি। রাতের মধ্যে আসে বাকি চার কোম্পানিও। লালবাজার জানিয়েছে, ভাঙড় এবং পূর্ব ডিভিশন পাচ্ছে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি পাঁচ কোম্পানিকে কলকাতা পুলিশের বাকি আটটি ডিভিশনে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি থানার হিসাবে এক প্লাটুন (৩০ জন) করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রবিবার কাশীপুর, গরফা, রবীন্দ্র সরোবর, কড়েয়া, তপসিয়া-সহ বিভিন্ন থানা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল
রুট মার্চের জন্য। দ্বিতীয় দফায় আগামী রবিবার আরও তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী লালবাজারের হাতে আসার কথা। পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, ওই বাহিনী চলে এলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী কলকাতা পুলিশের দশটি ডিভিশনেই এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।