—ফাইল চিত্র।
নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যাবে দেশ জুড়ে। তার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং তারকা-প্রচারকদের জন্য নির্দেশিকা জারি করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জানিয়ে দিল, প্রত্যক্ষ তো বটেই, পরোক্ষ ভাবেও যদি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়, তা হলে কড়া পদক্ষেপ করবে কমিশন।
মোট আটটি আচরণবিধির কথা উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেগুলি হল—
১। ভোটের প্রচার চলাকালীন এমন কোনও মন্তব্য বা আচরণ করা যাবে না, যার ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি বা হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।
২। কারও সমালোচনা করতে হলে, কার্যকলাপ ও নীতির মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না।
৩। ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে ভুয়ো কোনও তথ্য দেওয়া যাবে না ভাষণে। কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা যাবে না।
৪। কোনও ধর্মীয় স্থানকে প্রচারের মঞ্চ বানানো যাবে না। ভোট আদায়ের জন্য জাত বা ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগানো যাবে না।
৫। রাজনৈতিক দলের প্রচারে যাতে কোনও ভাবেই নারীদের সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট না হয়, তা মাথায় রাখতে হবে।
৬। ভিত্তিহীন বা ভুয়ো বিজ্ঞাপন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।
৭। খবরের মোড়কে কোনও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যাবে না।
৮। সমাজমাধ্যমে এমন কিছু পোস্ট বা শেয়ার করা যাবে না, যা আপত্তিকর এবং রুচিহীন।