যাদবপুর কেন্দ্রে প্রচারে সুজন চক্রবর্তী ও সৃজন ভট্টাচার্য। — নিজস্ব চিত্র।
এক জন ছিলেন যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ। কেন্দ্র বদলে সেই তিনি এই বারে দাঁড়িয়েছেন দমদমে। নিজের কেন্দ্রের প্রচারের ফাঁকে পুরনো কেন্দ্র যাদবপুরে দলের তরুণ প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে সোনারপুরে এলাকায় ঘুরলেন সুজন চক্রবর্তী। সেই সঙ্গে যাদবপুরেরই তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের ‘ভাষা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কালীবাজার এলাকা থেকে মঙ্গলবার প্রচার শুরু করেন সৃজন। তাঁর প্রচার চলে সোনারপুর পুরসভার ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা এই বারে দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুজন। প্রচার চলাকালীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৃজন বলেন, “যত দিন যাবে, যাদবপুরের লাল রং তত গাঢ় হবে। মানুষের ভালবাসা আমাদের পক্ষে।” সুজন দাবি করেন, জনতাকে ‘ভরসা’ জোগাতে পারবেন সৃজন। তাঁর বক্তব্য, “কখনও কবীর সুমন, সুগত বসু, কখনও বা মিমি চক্রবর্তী এখান থেকে সাংসদ হয়েছেন। কিন্তু মানুষ চান ভরসা-যোগ্য কাউকে। আমি নিশ্চিত, সৃজন সেই চাহিদা পূরণ করবেন।”
সন্ধ্যায় বারুইপুরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু। পরে তিনি সায়নীর উদ্দেশে তোপ দেগে বলেন, “যে প্রার্থীকে আসানসোল দক্ষিণ ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, তাঁকে যাদবপুরও ছুড়ে ফেলবে। এটা শিক্ষিত মানুষের এলাকা। উনি যে ভাষায় কথা বলেন, সেটা শিক্ষিত মানুষ পছন্দ করবেন না।” প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা ভোটে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন সায়নী। যদিও শুভেন্দুর মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বারুইপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দারের বক্তব্য, “শুভেন্দু অধিকারীর ভাষা বাংলার মানুষ পছন্দ করেন না। ভোটের ফলেই প্রমাণিত হবে, সায়নীকে যাদবপুর কতটা গ্রহণ করেছে বা করেনি।”
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই শুভেন্দুর অভিযোগ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উগ্র প্রচারের জন্য কিছু বুথে আমাদের লোক নেই। তবে ৮০ শতাংশ বুথেই আমাদের সংগঠন আছে।” ভাঙড়ে লোকসভা ভোটে তৃণমূল তৃতীয় হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।