দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে। এ কথা মেনে নিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপকে সতর্ক করে নোটিস দিল নির্বাচন কমিশন। নিয়ম মোতাবেক বিষয়টি জানানো হয়েছে দিলীপের দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকেও
মঙ্গলবার দিলীপ মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘‘বিহার, ইউপি থেকে দিদি গোয়াতে গিয়ে বলেন গোয়ার মেয়ে। ত্রিপুরাতে গিয়ে বলেন ত্রিপুরার মেয়ে।’’ এর পরেই তিনি মমতার উদ্দেশে কুরুচিকর ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। মমতাকে নিয়ে দিলীপের মন্তব্যের প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের কলকাতা দফতরে গিয়ে দিলীপের বিরুদ্ধে নালিশও ঠুকে আসে তৃণমূলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তারই প্রেক্ষিতে রিপোর্ট চায় কমিশন। তার পরই দিলীপকে শো-কজ়ের নোটিস ধরানো হয়। মঙ্গলবার দিলীপের নিন্দা করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও শো-কজ় নোটিস ধরায় তাঁকে। যত দ্রুত সম্ভব এ হেন আচরণের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
সোমবার কমিশনের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, তারা দিলীপের মন্তব্য শুনে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, বিজেপি প্রার্থী অত্যন্ত নিচু মানের ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন এবং আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি (এমসিসি) লঙ্ঘিত করেছেন।
ভারতীয় সমাজে মেয়েদের যে একটি উঁচু স্থান রয়েছে সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় মেয়েদের অংশগ্রহণ এবং প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করতে কাজ করে চলেছে তারা। এই আবহে মেয়েদের অবস্থানের কোনও ক্ষতি হলে তারা বিষয়টি মেনে নেবে না বলে জানিয়েছে কমিশন। দিলীপের উদ্দেশে কমিশনের বার্তা, আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চলার সময়ে তিনি যেন সতর্ক থাকেন। এই প্রসঙ্গে দিলীপকে জিজ্ঞাসা করা হলে দিলীপ বলেন, “ভাষা যাতে ঠিক থাকে, সেই বিষয়ে আমি সতর্ক থাকব।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আগের বারে গত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিষিদ্ধ করেছিল। বহু লোকের এটা হয়। পশ্চিমবাংলায় যে ধরনের রাজনীতি হয়, সেটা হয়তো কমিশন অনুমোদন করবে না। তবে সবারই এই ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।”
হিমাচল প্রদেশের মান্ডি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় অভিযুক্ত কংগ্রেসনেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনতেকেও সোমবার সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন।