জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
ভোট টানতে মদ, মাদক, নগদের ব্যবহারে রাশ টানার কথা ভোট ঘোষণার আগেই স্পষ্ট করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্র, রাজ্যের ২০টি সংস্থাকে একযোগে সে সব বাজেয়াপ্ত করার কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। গত ১ মার্চ থেকে সেই তল্লাশি শুরু হয়েছে। শনিবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে তথ্য দিয়েছে, তাতে গোটা দেশে বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রীর মোট অর্থমূল্য ৮৮৮৯.৭৪ কোটি টাকা। এই তালিকার শীর্ষে আছে গুজরাত, ১৪৬১.৭৩ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ‘নিষিদ্ধ’ সামগ্রীর অর্থমূল্য প্রায় ৩৭১ কোটি টাকা। তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের আগে আছে আটটি রাজ্য। যদিও এখনও লোকসভা নির্বাচনে তিন দফার ভোট বাকি। তাই ভোট শেষে তালিকায় কে উঠবে, কে নামবে তা দেখতে অনেকেরই আগ্রহ আছে।
সূত্রের খবর, ১ মার্চ থেকেই ইডি, আয়কর দফতর, ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স-সহ ২০টি সংস্থা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছিল। বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রীর মধ্যে পরিমাণের বিচারে সবার উপরে আছে মাদক। এ ছাড়াও, প্রায় ৫.৪০ কোটি লিটার মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া মদের অর্থমূল্যের নিরিখে এ রাজ্য রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। সেই বিচারে সবার প্রথমে রয়েছে কর্নাটক। নগদ উদ্ধারে সবার আগে রয়েছে তেলঙ্গানা। সব থেকে বেশি মাদক উদ্ধার হয়েছে গুজরাতে (প্রায় ১১৮৭.৮০ কোটি টাকার)। সব থেকে বেশি মূল্যবান ধাতু উদ্ধার হয়েছে দিল্লিতে।
এ দিকে আগামিকাল, সোমবার পঞ্চম দফার ভোট। তার আগে মদের দোকান বন্ধের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আগামিকাল, সোমবার শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, বনগাঁ, আরামবাগ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, হুগলিতে ভোট। কমিশনের নির্দেশে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সেই সব এলাকা এবং সেগুলির লাগোয়া জেলাগুলিতে মদের দোকান বন্ধ থাকবে। ভোট শেষ হওয়ার পরে দোকান খুলতে পারে। একই ভাবে পরের দফাগুলিতেও এই পদক্ষেপই করবে প্রশাসন। ৪ জুন, ভোট গণনার দিন মদের দোকান পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রের খবর, পঞ্চম দফার ভোটে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির উপরে বাড়তি নজর রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ, বনগাঁয় ভোট হবে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ এবং বেরোনোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত সেই নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে চিকিৎসার জন্য যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এ দেশে আসছেন, যাঁরা বনগাঁ লোকসভার ভোটার, এবং পচনশীল সামগ্রী নিয়ে আসা গাড়ির জন্য এই নিয়ম শিথিল থাকবে। সে ক্ষেত্রে বৈধ নথি থাকতে হবে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।