সুজন চক্রবর্তী। ছবি: পিটিআই।
জিতে এলে তারা কী করতে চায়, ভোটের প্রচারে বলে সব দলই। দমদমে সিপিএম এ বার শুনতে চাইছে, মানুষ কী চান। এলাকার উন্নয়নে মানুষের চাহিদা কী, সেই বিষয়ে রীতিমতো সমীক্ষা করে মতামত নিচ্ছে তারা।
উত্তর ২৪ পরগনার দমদম লোকসভা কেন্দ্রে এ বার সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ সুজন চক্রবর্তী। রাজ্য জুড়ে যে আসনগুলিকে বাছাই করে বিশেষ নজর দিয়ে লড়াই করছে সিপিএম, তার মধ্যে দমদম অন্যতম। সেখানেই এ বার শুরু হয়েছে কিছুটা অভিনব এই সমীক্ষা। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কী চাইছে দমদম’? সুজনকে নির্বাচিত করে লোকসভায় পাঠালে তাঁর কাছে কী ধরনের উদ্যোগ প্রত্যাশা করবেন দমদমবাসী, সেই সংক্রান্ত উত্তরই খোঁজা হচ্ছে সমীক্ষায়।
তবে এমন সমীক্ষার জন্য সিপিএম কর্মীরা এখনও বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন না। বিভিন্ন জায়গায় ফ্লেক্স টাঙিয়ে তাতে ক্যিউআর কোড দেওয়া হয়েছে। যা স্ক্যান করলে সমীক্ষার ফর্ম পাওয়া যাবে। অথবা ই-মেল করেও মত জানানোর সুযোগ রয়েছে। সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির এক তরুণ সদস্যের কথায়, ‘‘প্রথমেই আমরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি না। স্ক্যান করে বা মেল মারফত মানুষ তাঁদের মত জানাচ্ছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে, মানুষ নিজেরা কতটা উৎসাহ দেখাচ্ছেন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এখনও পর্যন্ত এই উদ্যোগে খুব ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’’
সিপিএম সূত্রের খবর, জমা পড়া ফর্ম থেকে উঠে আসা তথ্যে দেখা যাচ্ছে জেসপ-সহ বন্ধ কারখানা খোলা এবং বিরাটির আন্ডারপাস তৈরির দাবি সব চেয়ে বেশি। ব্যারাকপুর-বারাসত-এয়ারপোর্ট অবধি মেট্রো প্রকল্প, এলাকায় ইংরেজি মাধ্যম সরকারি স্কুল, মেডিক্যাল কলেজের দাবিও রয়েছে। এ ছাড়া, পানীয় জল, জঞ্জালের সমস্যার কথাও জানাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। সুজনের কথায়, ‘‘এই উদ্যোগের কৃতিত্ব আমাদের তরুণ কর্মী এবং তথ্যপ্রযুক্তি শাখার ছেলে-মেয়েদের। আমাদের কথা আমরা তো বলিই। এলাকার মানুষ কোন ধরনের কাজ আগে চাইছেন, সেটা বুঝে নিলে আমরাও আমাদের অগ্রাধিকার ঠিক করতে পারি।’’