—প্রতীকী চিত্র।
দেশ জুড়ে লোকসভা ভোট ঘোষণা হওয়া শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু তার আগে ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে বিজেপি বিরোধীরা রাজনৈতিক দলগুলি এখন আসন সমঝোতা নিয়ে বৈঠকে ব্যস্ত। কিন্তু এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস ও বামেদের জোট হবে কি না, তা নিয়ে এখনও সন্দেহের কালো মেঘ সরেনি। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে বাম ও কংগ্রেসের জোট না হলেও বামেদের সঙ্গে কংগ্রের জোট যে হচ্ছে, সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এ বার লোকসভা ভোটে সেই জোট ধর্ম বজায় থাকবে বলেই দাবি করছেন বাম নেতৃত্ব।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের সময় থেকে বাম ও কংগ্রেস জোটবদ্ধ হয়ে এ রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এক সঙ্গে পথচলা শুরু করেছে। ২০২১ সালের বিধানসভা, পঞ্চায়েত ভোট, পুরসভা ভোট সমস্ত ভোটেই এক সঙ্গেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে বাম ও কংগ্রেস। তাতে পঞ্চায়েত, পুরসভা ভোটে সফলতা না পেলেও তাঁদের জোট ধর্ম অটুট রেখেই লড়াই চালিয়ে গিয়েছে।
যদি তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয় সে ক্ষেত্রে বামেরা কি কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থন করবে! সিপিএমের কান্দি এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখনও আমাদের রাজ্যে এমন পরিস্থিতি হয়নি। যদি তেমনটা হয় সেক্ষেত্রে আমাদের রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন, আমরা সেই সিদ্ধান্ত মেনেই ভোটের কাজ করব।”
কিন্তু বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র টানা পাঁচ বারের সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী। বামফ্রন্টের শরিক দল আরএসপির কাছ থেকে ওই আসনটি ছিনিয়ে নিয়ে ছিলেন অধীর।
সিমিএমের কান্দি এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দলের নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী ধর্ম নিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল যে দলগুলি রয়েছে তাঁদের সমর্থনে কোনও বাধা নেই। তাই কংগ্রেসের প্রার্থীকে সমর্থন না করার কিছু নেই।”
কান্দি মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি শফিউল আলম খান বলেন, “বর্তমানে বাম ও কংগ্রেস জোট হয়েই আছে। বিধানসভা থেকে পুরসভা, পঞ্চায়েত ভোটে আমরা এক সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেছি, এ বার লোকসভা ভোটেও তার অনথ্যা হবে না।”