বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কেন্দ্রে নতুন করে নির্বাচন করানোর আর্জি জানাল কংগ্রেস। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠি দিয়ে তারা জানিয়েছে, বহরমপুরের অন্তত আটটি বুথে পুনর্নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন।
কংগ্রেসের অভিযোগ, বহরমপুরের বহু বুথে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ছাপ্পা ভোট, রিগিংয়ের পাশাপাশি সেখানে ভোটারদের ভয় দেখিয়ে তাঁদের প্রভাবিতও করা হয়েছে। কংগ্রেসের প্রদেশ কমিটির অভিযোগ, এই সমস্ত ঘটনা বিশেষ ভাবে ঘটেছে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সালারে। এই সমস্ত ঘটনা নিয়ে ভোটের দিন এবং তার আগেও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল কংগ্রেস।
গত ১৩ মে, সোমবার চতুর্থ দফার লোকসভা ভোটে নির্বাচন হয় বহরমপুরে। এই কেন্দ্রের প্রার্থী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর। যিনি ওই কেন্দ্রেরই পাঁচ বারের সাংসদও। ১৯৯৯ সাল থেকে বহরমপুরে লোকসভা সাংসদ হিসাবে জিতে আসছেন অধীর। তবে গত বার তাঁর জয়ের ব্যবধান এক লাখের নীচে নেমে আসে। এ বারের ভোটেও প্রচারে বেরিয়ে বহু বার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন অধীর। যদিও অধীর নিজে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই জানিয়েছেন, তিনি এ বারও বহরমপুর থেকে জিতবেন। না জিতলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু সোমবারের ভোটপর্ব মেটার এক দিনের মধ্যেই তাঁর দলের তরফে পুনর্নির্বাচনের আর্জি জানানো হল।
নির্বাচন কমিশনকে লেখা ওই চিঠিটি অবশ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর নিজে লেখেননি। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির তরফে নিলয় প্রামাণিক ওই চিঠি কমিশনকে লিখেছেন।
চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন ওই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ করলেও অনেক ‘গুরুতর অভিযোগের’ ক্ষেত্রেই পদক্ষেপ করেওনি। এ ব্যাপারে কমিশনের কাছে দায়ের করা অভিযোগের বিশদ-সহ চিঠিতে কংগ্রেস জানিয়েছে, কোন কোন বুথে পুনর্নির্বাচন চাইছে তারা।
কংগ্রেস জানিয়েছে, ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কুলুরির ১৫৫ এবং ১৫৬ নম্বর বুথ, কাজিপাড়ার ১৫৭ নম্বর বুথ, শেখ পাড়ার ১৬৬, ১৬৭ এবং ১৬৮ নম্বর বুথ এবং দোহাপড়ার ১৭১ ও ১৭২ নম্বর বুথে নতুন করে নির্বাচন হওয়া জরুরি। কারণ, তা না হলে বেআইনি ভাবে করানো ভোটের প্রভাব পড়বে ফলাফলেও।